পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল একজন ক্রিমিনাল। মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে কুয়েতে তার বিচার হচ্ছে। সে কূটনীতিকও নয়। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসাবে কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি কুয়েতে দু’দিনের সফর শেষে গত মঙ্গলবার দেশে ফেরেন। বিদেশে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্য পাপুলের বিচার প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা সরকারে কোন অস্বস্তি নেই জানিয়ে গতকাল সচিবালয়ে ড. মোমেন বলেন, এমপি পাপুল কূটনীতিক হিসাবে কুয়েত যাননি। তিনি বা তার পরিবার কারও কূটনৈতিক পাসপোর্ট নেই। কুয়েতের লোকাল ক্রিমিনাল হিসাবে তারা তাকে গ্রেফতার করেছে এবং সেভাবেই আদালতে তার বিচার হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, সফরকালে কুয়েতের নতুন আমির এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াও বৈঠকগুলো হয়েছে। অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু কোথাও পাপুলকান্ড নিয়ে কোন কথা হয়নি। এমনকি বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকেও কুয়েত কতৃপক্ষ এখনো এ নিয়ে কিছু বলেনি। তবে যেটা শুনেছি তা হলো- স্থানীয় ব্যবসায়ী হিসাবে পাপুল অনেককে চাকরি দিয়েছিলেন। কুয়েতেও কিছু দুষ্ট লোক আছে। এখন তারা খুঁজে বের করছে যে উনি কাকে কাকে চাকরি দিয়েছেন। তারা তাদেরকে মনিটর করছে এবং ভালো হলে রাখছে না হলে বের করে দিচ্ছে। ফলে কিছু লোকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মন্ত্রী গত ৪-৫ অক্টোবর কুয়েত সফরে ছিলেন।
উল্লেখ, গত ৭ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে ল²ীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে দেশের আরো কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। এখন আদালতে পাপুলের বিচার চলছে।
গতকাল নিজ দফতরে কুয়েত সফর প্রসঙ্গে মন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, কুয়েতে গিয়েছি মরহুম আমিরের মৃত্যুতে শোক জানাতে এবং নতুন আমিরকে অভিনন্দন জানাতে। সেখানে কথা হয়েছে যারা দেশে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন তাদের ফেরানোর বিষয়ে। আমরা বলেছি, সউদী আরব, কাতার, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত খুলেছে, সুতরাং আপনারা খুলে দিলে আমাদের কর্মীরা ফিরতে পারে। জবাবে তারা (কুয়েত) বাংলাদেশি কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছেন। বিশেষত কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, দুইদিন পরে তারা বসছেন। কেবল বাংলাদেশ নয়, প্রবাসী কর্মী যারাই কুয়েতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তাদের বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্ত্রী মোমেন বলেন, তারা এ-ও জানান তারা খুব নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে কাজ করছেন। সুতরাং আমি আশাবাদী আজকালে মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত পাবো। কুয়েতের মন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন। আমরা ঢাকায় একটি তেল শোধনাগার বানানোর প্রস্তাব দিয়েছি। তারা বলেছে এটি উত্তম প্রস্তাব। কুয়েত জানালো তারা দক্ষিণ কোরিয়াতে একটি রিফাইনারী বানানোর চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কুয়েত সফরে চারটি চুক্তি হয়েছিল জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই চুক্তিগুলোর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি খুবই সামান্য। ওই তালিকায় বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি রয়েছে, এটি অনেকে জানে না। কুয়েত চায়, আমাদের রাষ্ট্রদূত এটি প্রচারে যেনো উদ্যোগী হন। তাদের বলেছি, আমাদের ওষুধ শিল্প ভালো করেছে, আমরা পিপিই তৈরি এবং রফতানি করছি। চাইলে কুয়েত তা নিতে পারে।
রোহিঙ্গা নিয়ে কুয়েত প্রথম থেকে ঢাকার পাশে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা যখন নিরাপত্তা পরিষদে ছিল তখন একটি প্রতিনিধিদল আসে এবং একটি রিপোর্ট দেয়। কুয়েত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আছে এবং এ বিষয়টি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গার কারণে গোটা অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরে বলে আসছি। এটি বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং পুরো অঞ্চলের জন্য খারাপ হবে। যারা সন্ত্রাস করে তাদের কোনো সীমান্ত নেই, তাদের কোনো ধর্ম নেই।
মন্ত্রী বলেন, যারা মিয়ানমারে বিনিয়োগ করছে যেমন চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত তাদের সবাইকে বলি আপনারা বিনিয়োগ করছেন এটি ভালো। কিন্তু ওখানে যদি অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তবে আশাপ্রদ লাভ পাবেন না। আমাদের সাহায্য করুন শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।