পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারির কারণে হওয়া অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর লক্ষ্য অর্জনে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। গতকাল সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত এডিবি’র ৫৩তম বার্ষিক সভার ২য় দফার ২য় দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। করোনা সংক্রমণের কারণে এবারের আয়োজন ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা হয়েছে। এ দিন প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু বলেন, ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক সব সময়ই তার সহযোগিদের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জনের দিকে নজর রাখবে। আমরা বর্তমানে একটি অনিশ্চিত ও অস্থির সময় পার করছি। এই অঞ্চলের মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানের পথে আমরা একটি শক্তিশালী উপায় বের করছি। আমাদের আগামীর কাজ হল সকলকে সঙ্গে নিয়ে টেকসই, ঘাতসহ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’
এডিবি তার সহযোগী দেশগুলোর করোনার ধাক্কা মোকাবিলা করার জন্য গত এপ্রিলেই ২০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের করোনা বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এবারের বার্ষিক সভায় এডিবি ৬টি ক্ষেত্রে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট। এগুলো হল, ১. করোনা সংক্রমণ কেটে গেলে সৃষ্ট সুযোগ কাজে লাগাতে আঞ্চলিক সহযোগিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তার সুফল নিশ্চিত করবে। ২. করোনা অবশ্যই অসমতা ও দরিদ্রতা বাড়িয়ে তুলছে। তাই স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষা খাতে বিনিয়োগকে শক্তিশালী করবে। কারণ, মানবসম্পদ তৈরি করতে পারলেই দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করে সংস্থাটি। ৩. ২০৩০ সালের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলাতে সংস্থাটি চলমান কার্যক্রমের পরিসর ও অর্থায়ন বৃদ্ধি করতে চায়। ৪. স্বাস্থ্য, শিক্ষা,ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এগিয়ে নিতে ও ডিজিটাল ডিভাইড দূর করে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে তথ্য-প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। ৫. কর আদায়সহ সহযোগী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে বর্তমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করবে এডিবি। ৬. এডিবি তার সহযোগী দেশে নিরাপদ ও কার্যকর টীকা আবিষ্কারে সহযোগিতা বাড়াবে। আর এসব অর্জনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক ও টীকা প্রস্তুতকারী ও গবেষণাভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সঙ্গে এডিবি তার বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে জানানো হয়।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার গতকাল শুরু হওয়া এ সভার প্রথম দিনে কয়েকটি অধিবেশনে আলোচনায় বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্ত হন সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রী, শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞসহ সংস্থার নীতিনির্ধারকরা। ‘ফিন্যান্স অ্যান্ড হেলথ সিম্পোজিয়াম অন ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ ইন এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ শীর্ষক অধিবেশনে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া সর্বজনীন স্বাস্থ্য কাভারেজের (ইউএইচসি) জন্য সংস্থার সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, শক্তিশালী স্বাস্থ্য খাতের মজবুত ভিত্তির জন্য এটা জরুরি। বয়স্ক, দরিদ্র, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিসহ সমাজের সবার জন্য নিশ্চিত স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য একটি স্বাস্থ্য নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।