Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফা বন্যা মালভাঙা স্লুইসগেট হুমকির মুখে

কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৩৫ পিএম

কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফা বন্যার কবলে পড়েছে মানুষ। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধরলা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বুধবার সকালে ব্রীজ পয়েন্টে ৩৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীগুলো এখনো বিপদসীমান নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে ধরলা নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার পরিবারের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। এছাড়াও বন্যায় ১০০ হেক্টর আমন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
একদিকে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র ভাঙন। ধরলার ভাঙনে কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ইউনিয়নের মালভাঙা এলাকার ১৬ ভেন্টের স্লুইসগেট হুমকীর মুখে। স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁধ বিলীন হলে কুড়িগ্রাম- উলিপুর সড়ক তলিয়ে যাবে। সেই সাথে উলিপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে। এদিকে তিস্তা নদীতে তীব্র ভাঙন চলছে উলিপুরের থেতরাই, চর বজরা ও গাইবান্ধা জেলার বিচ্ছিন্ন অঞ্চল কাশিমবাজারে। এখানে যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়কের তিন মিটার নদীগর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও চারটি বাড়ি নদীগর্ভে গেছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো ত্রিশটি বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে তিস্তার ভাঙনের কবলে পড়েছে উলিপুর উপজেলার বজরা এলাকার নজরুল মাস্টার, আব্দুল মোতালেব, মনির হোসেন ও মনিরাম মুছির বাড়ি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী ২-৩ দিন পানি আরো বাড়ছে পারে। এরপর পানি কমবে। এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, ধরলা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী ১০০ হেক্টর আমন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ করে ধরলা নদীতে অস্বাভাবিক পানিবৃদ্ধি হয়েছে। পানিবৃদ্ধির ফলে আবার বন্যার কবলে পরেছে ধরলা নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ ও বিভিন্ন ফসলাদি। সংশ্লিস্ট বিভাগকে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা পরিস্থিতি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ