Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তায় পাল্টে যাবে জীবন

চীনের ৮২০০ কোটি টাকার প্রকল্প : ডিসেম্বরের মধ্যেই চুক্তি ও টেন্ডার প্রকল্প ব্যয় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা : তিস্তার পানি চুক্তির প্রয়োজন পড়বে না : ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান :

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

হোয়াংহো নদীকে এক সময় বলা হতো চীনের দুঃখ। প্রতিবছর ওই নদীর পানি ভাসিয়ে দিত শত শত মাইল জনপদ। ভেঙে নিয়ে যেত বহু গ্রাম-পথ-ঘাট জনপদ। সেই সর্বনাশা নদীশাসন করায় (পরিকল্পিত ড্রেজিং) চীনের মানুষের দুঃখ ঘুচেছে। হোয়াংহো এখন হয়ে গেছে চীনের কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। হোয়াংহোর মতোই চীন এখন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ‘পাগলা নদী’ খ্যাত তিস্তা ড্রেজিং করে কোটি মানুষের দুঃখ ঘুচানোর পরিকল্পনা করেছে। এ পরিকল্পনায় রয়েছে- ১০৮ কিলোমিটার নদী খনন, নদীর দু’পাড়ে ১৭৩ কিলোমিটার তীর রক্ষা, চর খনন, নদীর দুই ধারে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ, বালু সরিয়ে কৃষি জমি উদ্ধার ও ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা এবং প্রতি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন। চীনের প্রস্তাবিত তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা। ভারত যুগের পর যুগ ধরে, তিস্তা চুক্তির মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। চীনের তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারত থেকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত পানি আর প্রয়োজন পড়বে না। নদীর গভীরতা প্রায় ১০ মিটার বৃদ্ধি পাবে। বন্যায় উচলে ভাসাবে না গ্রামগঞ্জ জনপদ। সারা বছর নৌ চলাচলের মতো পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। নৌবন্দর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দুইপাড়ে থানা, কোস্টগার্ড, সেনাবাহিনীর জন্য ক্যাস্পের ব্যবস্থা প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে চীনের চুক্তি এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরে তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্পটি ২য় প্রকল্প বাংলাদেশের।

তিস্তা প্রকল্প তথা বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগে বাগড়া দিচ্ছে ভারত। মোদির কট্টর হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসী নীতির কারণে প্রতিবেশি কেউ নেতা তাদের সঙ্গে। প্রায় একঘরে ভারত চায় দক্ষিণ এশিয়ার ভুরাজনীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে নিজের বলয়ে রাখতে। কিন্তু নিজের দেশের অর্থনীতির ত্রাহি অবস্থা; অথচ প্রতিবেশি বাংলাদেশের উন্নয়নে চীনের বিনিয়োগে বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। ভারত প্রতিবেশি এবং বড় অর্থনীতির আস্ফালন দেখালেও বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগ যৎসামান্যই। দিল্লির শাসকদের অবস্থা যেন ‘ঢাল নেই তড়োয়াল নেই নিধিরাম সর্দার’। লাদাখের সীমান্তে নাস্তানাবুদ ভারত চায় বাংলাদেশ যেন চীন থেকে দূরে থাকে। এ জন্য দেশটি মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার পুরোনো রেকর্ড বাজাচ্ছে। কিন্তু পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই সে দেশে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ চীন বিনিয়োগ করেনি। ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টালে দেখা যায়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বিদেশে বিনিয়োগ এসেছে ২৮৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। এ বিনিয়োগ চীনের অবস্থান প্রথম অথচ ভারতের অবস্থান নবম। চীন গত বছর বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ৬২ কোটি ৬০ লাখ ডলার (৫ হাজার ৩২১ কোটি টাকা)। এটা বিদেশি বিনিয়োগের প্রায় ২২ শতাংশ। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য; তাদের বিনিয়োগ প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশে বিনিয়োগের নবম স্থানের ভারতের বিনিয়োগ মাত্র ৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশভিত্তিক বিদেশি বিনিযোগকারী শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে চীন ও যুক্তরাজ্যের পরেই রয়েছে সিঙ্গাপুর। তাদের বিনিয়োগ সাড়ে ৯ শতাংশ। চতুর্থ যুক্তরাষ্ট্রের ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ, পঞ্চম নরওয়ে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এরপর ৬ম সংযুক্ত আরব আমিরাত, সপ্তম হংকং, অষ্টম সিঙ্গাপুর, নবম ভারত ও দশম জাপান। এ ভেঙ্গেপড়া অর্থনীতি নিয়ে হিন্দুত্বাবাদী ভারত বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর ছড়ি ঘুড়ালেও অর্থনীতির ওপর নিয়ন্ত্রণ পাচ্ছে না। চীন বিশ্বের আর দশটা দেশের মতোই বাংলাদেশেও ব্যপক বিনিয়োগ করছে।

জানতে চাইলে তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী আজিজ মুহাম্মদ চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গা ব্যারেজ করেও কোনো লাভ হয়নি। চীনের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উত্তরাঞ্চলের জেলারগুলোর চিত্র পাল্টে যাবে। তিস্তার নদী খনন, নদীর দু’পাড়ে তীর রক্ষাকাজ, চর খনন, দুইপাড়ে স্যাটেলাইট শহর নির্মাণ এবং হাজার হাজার বাড়িঘর রক্ষা পাবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ভারত থেকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত পানির আর চুক্তির প্রয়োজন হবে না। শীঘ্র টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

জানা যায়, পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দু’পাড়ে পরিবকল্পিত স্যাটেলাইট শহর, নদী খনন ও শাসন, ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আধুনিক কৃষি সেচ ব্যবস্থা, মাছ চাষ প্রকল্প পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে ৭ থেকে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন নামে একটি প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ বড় প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশন থেকে এরমধ্যেই ইআরডিতে পাঠানো হয়েছে। চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর থেকে তিস্তাপাড়ে নির্মিতব্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করেছে। তিস্তা নদীরপাড়ের জেলাগুলো নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধায় চায়নার তিনটি প্রতিনিধি দল কাজ করছেন।
জানতে চাইলে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, চায়না পাওয়ার কোম্পানি দুই বছর ধরে তিস্তাপাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাপরিকল্পনার নির্মিতব্য প্রকল্প বাস্তবায়নে নকশা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করেছে। তারা ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রাথমিক ব্যয় ধরেছে। তিস্তা নদীর মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ইয়োলো রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং, চায়না আর্থিক সহয়তা ঋণ হিসেবে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যে যাই বলুক এ সরকারের আমলে তিস্তা প্রকল্প এবং তিস্তা ব্যাজেরের কাজ উদ্ধোধন করা হবে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার ইনকিলাবকে বলেন, এরই মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তাবনার পরিকল্পনা কমিশন থেকে ইআরডিতে পাঠানো হয়েছে। এটি শেষ হলে আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর চীনের সঙ্গে চুক্তি হবে। এর পরে টেন্ডার প্রক্রিয়ার শুরু করা হবে।

উত্তরাঞ্চলের মানুষকে তিস্তা নদী ঘিরে মহাপরিকল্পনা উপহার দিতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। আট হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের আওতায় তিস্তা নদীর দুইপাড়ে ২২০ কিলোমিটার গাইড বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বাঁধের দুইপাশে থাকবে সমুদ্র সৈকতের মতো মেরিন ড্রাইভ। যাতে পর্যটকরা লং ড্রাইভে যেতে পারেন। এছাড়া এই রাস্তা দিয়ে পণ্য পরিবহন করা হবে। নদীপাড়ের দুইধারে গড়ে তোলা হবে- হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও পর্যটন নগরী। টাউন নামের আধুনিক পরিকল্পিত শহর, নগর ও বন্দর গড়ে তোলা হবে। তিস্তা পাড় হয়ে উঠবে পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের সুকিয়ান সিটির মতো সুন্দর নগরী।
উত্তরাঞ্চলে তিস্তা সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হলে ভারত এই প্রকল্পের ৬৫ কিলোমিটার উজানে কালীগঞ্জের গজলডোবায় সেচ প্রকল্প তৈরি করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে তিস্তা পাড়ে প্রতিবছর বন্যা ও খরা দেখা দেয়। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দীর্ঘদিন থেকে ভারত ঝুলিয়ে রেখেছে। ফলে লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে বর্তমান সরকার নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ নেবে। পাল্টে যাবে এসব জেলার মানুষের জনজীবন। তিস্তাপাড়ের মানুষের দুঃখের দিন শেষ হয়ে যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, চীনের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগে একটি চক্র এর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করেছে। তাদের মতে, চীনের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে বলা হয়, এটি বাংলাদেশের একটি উন্নয়ন প্রকল্প। বিশ্বের সব দেশকে এখানে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়া হয়। চীন এগিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে চীন সরকারের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান। সেই সময় চীনের সঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্প ও বাণিজ্য বিষয়ে বেশ কয়টি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সেই সময় শেখ হাসিনা এক সময় চীনের দুঃখ খ্যাত হোয়াংহো নদী নিয়ন্ত্রণ করে চীনের আশীর্বাদে পরিণত করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তিস্তাকে আশীর্বাদে রূপ দেয়া যায় কি না তার প্রস্তাব করেন। চীন সরকার নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে দুই বছর ধরে তিস্তা নদীর ওপর সমীক্ষা চালায়। সমীক্ষা শেষে একটি প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব দেয়।

তিস্তা প্রকল্প প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক ইনকিলাবকে বলেন, ইয়োলো রিভার ইঞ্জিনিয়ারিং চায়না নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৌশলগত ও আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চীন এই প্রকল্পে সহজশর্তে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিতে আগ্রহী। এটা বাস্তবায়ন হলে ঘুরে তিস্তানদীর আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের মানুষের ভাগ্যের চাকা।



 

Show all comments
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:০৯ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পরিকল্পনায় চিস্তার পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন অগ্রগতির দৃশ্য বাংলাদেশ দেখবে।। ইনশাআল্লাহ। চিস্তা নদীর কাহিনীর চিত্রনাট্য ভারতীয়দের মুলা ঝুলানো কাহিনী বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা হয়তো বিচক্ষনতার মাঝেই বুঝতে দেরী হয়নি। এটি হচ্ছে দক্ষ বিচক্ষন বুদ্ধিদীপ্ত কুটনৈতিক জওয়াব। সাবাস বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা জাতির পিতার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের গভীর শ্রদ্ধা ও সালাম। পদ্ধাসেতু আপনার বিশালাকার চ‍্যালেঞ্জ বাংলাদেশের বর্ণচোরা কিছু মানুষ। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের কাজের মাধ্যমে জওয়াব দিয়ে প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশে উন্নয়ন অগ্রগতির জন্যে বাংলাদেশ কে অর্থনৈতিক পরাশক্তির কাতারে নিয়ে যাও য়ায় জন‍্যে। বঙ্গবন্ধুর কন‍্যার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু কন‍্যার ভিষণ সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। চিস্তায় পাল্টে জাবে জীবন। শিরোনাম পড়ে অত্যন্ত খুশী আনন্দীত উৎসাহিত। হলাম। চিস্তা পাড়ের মানুষের জীবন পাল্টে যাবে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। ইনকিলাব কে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Jewel ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৩ এএম says : 1
    ২০১৪ সালে তিস্তার ভারতীয় অংশে গজলডোবায় স্থাপিত বাঁধের সবগুলি গেটবন্ধ বন্ধ করে দেয়া হলে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে জলপ্রবাহ শূন্যে নেমে আসে। এর ফলে বাংলাদেশের ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা অববাহিকায় মানুষের জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে পড়ে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mostafizur Rahaman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
    ৮০০০ কোটি টাকা খুব বড় ঋণ নয়। প্রতি বছর ভারতীয় বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষতি সেটা আটকাতে পারলে ক্ষণ পরিশোধ করেও লাভ হবে। ভারতেও টের পাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Neelema Chowdhury Helen ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
    ভারতকে পাশ কাটিয়ে সরকার যদি এটা বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে অবশ্যই সরকার সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।।
    Total Reply(0) Reply
  • উমর ফারুক শাহ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
    তিস্তা বাচলে সারা বাংলাদেশ বাচবে এটা সরকারের মনে রাখা উচিত। যে দেশে পদ্মা সেতু হয় সেই দেশে এই ৮০০০ কোটি টাকা নিজের টাকায় এই নদীর পানি প্রবাহ ঠিক রাখা উচিত ছিলো
    Total Reply(0) Reply
  • Alamgir Kabir Khan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৪ এএম says : 0
    জন্মের পর থেকে তিস্তা নিয়ে ব্যাবসা চলছে কোন সরকার দেশের স্বার্থে কাজ করলো না।
    Total Reply(0) Reply
  • Sarowar Sohel ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৫ এএম says : 0
    প্রকল্প তো নামে হয় কামে তো মহা চুরি হয়.. তার পরেও বাংলাদেশের জন্য অনেক ভালোবাসা রইলো..
    Total Reply(0) Reply
  • Mojibur Rahman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৫ এএম says : 0
    গত এক যুগে দেশের যে পরিমাণ টাকা পাচার / হ্যাক / চুরি করে বিদেশে পাঠানো হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে কোন দেশ থেকে ঋণের প্রয়োজন হতো না
    Total Reply(0) Reply
  • Didarul Islam ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৬ এএম says : 0
    সঠিক সিদ্ধাত দ্রুত বাস্তবায় করা হওক।
    Total Reply(0) Reply
  • salman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৫৬ এএম says : 0
    Alhamdulillah, Chaina is Best Friend of Bangladesh. india holo bangladesher boro sotru. Oraa akhon o Jongal, Math, Ghat, Khet, khamar a Haagay, ora korbo amader help? Oraa GORIB
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আইয়ুব আলী সিকদার ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:২২ এএম says : 0
    শুধু তিস্তা নদী নয় পদ্মার বিষয়টি ও এই ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হোক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প বাস্তবায়ন হোক বাংলাদেশ সমৃদ্ধির উচ্চতর স্থানে আরোহন করুক এটাই কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shiblu Chandra Halder ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:০২ এএম says : 0
    Congratulation to our Government for agreement at Tista Project.
    Total Reply(0) Reply
  • saif ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১০:১৪ এএম says : 0
    ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহর রহমতে‌ আমাদের সরকার পারবেন, আসুন সবাই মিলে দোয়া করি আল্লাহ যেন রহমত করেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shafin ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:২৩ পিএম says : 0
    ৮০০০ কোটি টাকা বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব বড় এমাউন্ট না যার প্রমান আমরা ইতিমধ্যেই দিয়েছি(পদ্মা সেতু)। আরে ভাই নিন্দুক সব জায়গায় থাকবে প্রধানমন্ত্রী জখন বলেছে পদ্মা সেতু নিজের অর্থায়নে হবে তখন ও নিন্দুক ছিলো মূল কথা কাজ শুরু করে দেয়া হোউক। ♥♥♥
    Total Reply(0) Reply
  • syed kabir m j ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৩:৩৬ পিএম says : 0
    কেউ আমাদের শত্রু নয়।বাংলাদেশ বংগবন্ধুর মতাদর্শে সবার সাথে বন্ধুত্ব নীতি মেনে চলছে।আমরা ছোট্ট দেশ,পরাশক্তির রেষারেষিতে আমরা গেলে এতো মানুষের দেশ,আমরা বিপদে পড়বো। শেখ হাসিনার উন্নয়ন নীতিতে বাংলাদেশে এগিয়ে চলেছে।ধৈর্যশীল হাসিনা নীরব কুটনীতিদিয়ে এগিয়ে চলেছেন।বংগবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারেও তার প্রচন্ড ধৈর্য দেখেছি। পররাষ্ট্রনীতিতে অসীম সাহসী ও ধৈর্যধারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা যুগযুগ বেঁচে থাকুন।(এক বীর মুক্তিযোদ্ধ)
    Total Reply(0) Reply
  • মহিবুল আশরাফ ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:১৬ পিএম says : 0
    আওয়ামীলীগের বিকল্প অন্য কোন দল হলেও,শেখ হাসিনার বিকল্প এখনো কেউ নেই। এগিয়ে যাও বাংলাদেশ, ভারতীয় দাদাদের নীচ মন- মানসিকতার উন্নয়ন ঘটুক। শেখ হাসিনার হাত ধরে তিস্তাপাড়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি।
    Total Reply(0) Reply
  • md kamrul hassan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:২৫ পিএম says : 0
    আমি জানি কতটুক সত্য ঘটনা তবে আমি আমার ব্যাক্তিগত দিক থেকে বলি অনেক ভালো হবে আমার বাসা তিস্তা নদীর পারে জন্ম পর থেকে পানিতে ভেজতেচি জানিনা কবে যে ভাগ্গ পরিবতন হবে জানি,,, তবে ব্যাক্তি গত ভাবে কষ্টে আচি
    Total Reply(0) Reply
  • md kamrul hassan ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:২৫ পিএম says : 0
    আমি জানি কতটুক সত্য ঘটনা তবে আমি আমার ব্যাক্তিগত দিক থেকে বলি অনেক ভালো হবে আমার বাসা তিস্তা নদীর পারে জন্ম পর থেকে পানিতে ভেজতেচি জানিনা কবে যে ভাগ্গ পরিবতন হবে জানি,,, তবে ব্যাক্তি গত ভাবে কষ্টে আচি
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Akhteruzzaman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৩ পিএম says : 0
    এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এক ধাপ এগিয়েযাবে বাংলাদেশ
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Akhteruzzaman ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১১:১৩ পিএম says : 0
    এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এক ধাপ এগিয়েযাবে বাংলাদেশ
    Total Reply(0) Reply
  • MD. JAHIDUL ISLAM ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৩০ পিএম says : 0
    পদ্মা শেতু করায় দেশের যদি ১০ গুণ ঊন্নতি হয়, তাহলে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের উন্নতি হবে ১০ হাজার গুণ , যাই হোক শুনে খুব ভালো লাগোলো ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি তিস্তা পানি চুক্তি কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নাই এবার তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশ এগিয়ে যাবে বহুদুর, দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষ গুলোর দিন ফিরবে মনে হয়, ধন্যবাদ সংশ্লিষ্টদের এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে
    Total Reply(0) Reply
  • Rashedul islam ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম says : 0
    প্রকল্পটি উত্তরবংগ এর জন্য আশীর্বাদ। যদি প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় তাহলে দারিদ্র্য বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিবে। বেশি কাল ক্ষেপন না করে দ্রুত বাস্তবায়নের করতে হবে। এর এ ধরণের কাজে নজরদারি কঠোর করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashedul islam ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৫৩ পিএম says : 0
    প্রকল্পটি উত্তরবংগ এর জন্য আশীর্বাদ। যদি প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় তাহলে দারিদ্র্য বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিবে। বেশি কাল ক্ষেপন না করে দ্রুত বাস্তবায়নের করতে হবে। এর এ ধরণের কাজে নজরদারি কঠোর করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • সাদেকুর রহমান ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:১০ এএম says : 0
    বাংলাদেশ চীন ও ভারতের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে পারলেই এ দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব যা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মস্তিষ্কে অনুধাবন করতে পেরেছেন এই তিস্তা প্রকল্প চীনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশ চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে l যার সুদূর প্রসারী সুফল পাবে বাংলাদেশl
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ নুরুল ইসলাম,উলিপুর, কুড়িগ্রাম ১১ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫২ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমি তিস্তা পাড়ের বসত ভিটা হারা মানুষ, ৬০ বৎসর বয়সে এসে আপনার এমন মহতি উদ্যোগ আমাকে আরো বেচে থেকে দেখার জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছি, আল্লাহ তিস্তা পাড়ের মানুষ গুলাকে চিরদিন শান্তি ও সুখের মুখ দেখাতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে দির্ঘজীবি করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Ahmmed ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৫ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ,এই প্রকল্পটি সম্পুর্ন বাস্তবায়ন হলে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ। আমাদের যোগ্য প্রধান মন্ত্রীকে হাজার সালাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Ahmmed ৮ নভেম্বর, ২০২০, ১০:২৬ পিএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ,এই প্রকল্পটি সম্পুর্ন বাস্তবায়ন হলে ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ। আমাদের যোগ্য প্রধান মন্ত্রীকে হাজার সালাম।
    Total Reply(0) Reply
  • রাজীব হোসেন ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:১৫ পিএম says : 0
    নতুন পরিকল্পনায় আমাাকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে, হতে চেয়েছিলাম ডেভলাপার তবে সব হয়ে যাচ্ছে। আমি কৃষক হতে চাই ছোট বেলা থেকে আজো একই সপ্ন। আমাদের মতো আরো লক্ষ্য লক্ষ্য আছে। ভবিষ্যতে তারাই এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে। দোয়া করি দ্রুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সপ্নটি পুরন হক। ছোট থেকে সপ্ন দেখতাম সবাই মিলে দেশকে ডেভলাপ করবো। তবে সেটা হচ্ছে ওনি করে দেখাচ্ছে। ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবে। আমি ভোটার হইনি এখন ও তবে আমি মন থেকে বলছি আমাদের সপ্ন গুলো পুরন করছে ওনি। ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবো না। অনেক অনেক ভালোবাসা রইল।
    Total Reply(0) Reply
  • masudahmed ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৩৬ পিএম says : 0
    আসলে এই প্রকল্পের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর উপর এটা করা তাহলে তিস্তার বন্যা এমনিতেই কমে যাবে আর এই উন্নয়ন গুলো দেশীয় টাকায় করা উচিৎ ।
    Total Reply(0) Reply
  • ফারুক আহম্মেদ ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:১২ পিএম says : 0
    তিস্তানদী গর্ভে আমাদের বাড়ীঘর ১৪বার বিলীন হয়ে গিয়াছে। দাদার আমলে ৬বার বাবার আমলে ৮বার। আমাদের অনেক জমি অনাবাদী হয়ে পড়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আমাদের দুঃখের শেষ রক্ষা হবে ইনশাল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তিস্তা-মেঘনা

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ