পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা ‘পজিটিভ’ কয়েকজন প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। গত এক মাসে এ রকম সাতজন করোনা ‘পজিটিভ’ প্রবাসী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শনাক্ত হন। করোনা ‘পজিটিভ’ সনদ থাকার পরেও এসব যাত্রী নিয়ে আসায় ইতোমধ্যে তিন এয়ারলাইন্সকে সতর্ক করেছে হযরত শাহজালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
করোনার কারণে গত মার্চ থেকে চীন ছাড়া বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে জুন থেকে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে সউদী আরবের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকলেও সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান ও সউদী এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ফিরছেন। এ ছাড়া কাতার থেকেও বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশে ফিরেছেন অনেকে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে করোনা সনদ বাধ্যতামূলক না থাকায় কেউ কেউ সুযোগ নিচ্ছেন। একই কারণে ফ্লাইটে ওঠার আগে বিমান সংস্থাগুলোও বাংলাদেশি যাত্রীদের করোনার সনদ আছে কি না, তা যাচাই করছে না। আবার অনেক যাত্রীর করোনা ‘পজিটিভ’ সনদ থাকার পরও তারা সেটি ঢাকায় বিমানবন্দরে এসে লুকিয়ে রাখছেন। তবে যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ করোনা সনদ বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছে দিয়েছেন। এভাবেই গত এক মাসে করোনা পজিটিভ সনদসহ সাতজন যাত্রী শনাক্ত হয়েছেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাসে কমপক্ষে সাতজন করোনা পজিটিভ সনদধারী যাত্রী ঢাকায় নিয়ে আসে সউদী এয়ারলাইন্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ফ্লাই দুবাইয়ের ফ্লাইটে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সউদী এয়ারলাইন্সের এসভি ৩৮০৪ ফ্লাইটে ১ জন, ৩ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৪০৫০ ফ্লাইটে ১ জন, ২৬ আগস্ট সউদী এয়ারলাইন্সের এসভি ৩৮০৬ ফ্লাইটে ১জন, ২২ আগস্ট এসভি ৩৮০৮ ফ্লাইটে ১ জন, ২০ আগস্ট দুবাই থেকে ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড ৫৮৩ ফ্লাইটে ১ জন ও ১৬ আগস্ট বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের বিজি ৪১২৬ ফ্লাইটে দোহা থেকে ১ জন করোনা পজিটিভ যাত্রী ঢাকায় আসেন।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত এক মাসে যে সাতজন যাত্রী শনাক্ত হন, তাদের কারও মধ্যে করোনার উপসর্গ ছিল না। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা, এভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও অনেক রোগী সহজেই বের হয়ে গেছেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সবশেষ করোনা পজিটিভ সনদসহ যাত্রী শনাক্তের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে বিমানবন্দর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সূত্র জানায়, ফ্লাইটে পজিটিভ যাত্রী আনার ঘটনায় বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানালে ওই দিনই বিমানবন্দরের পরিচালক জরুরি বৈঠক ডেকে এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিনিধিদের সতর্ক করেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল আহসান এ প্রসঙ্গে বলেন, সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।