Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যাজিস্ট্রেটকে হাইকোর্টে তলব

তিন আসামির একই জবানবন্দি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় স্কুলছাত্র অন্তরকে। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ৭ জুনের। ফরিদপুর নগরকান্দা স্কুলে পড়তো ছেলেটি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে। আসামিরা ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ম্যাজিস্ট্রেট তা রেকর্ড করেন।

পরে দেখা যায়, তিনজনের জবানবন্দির ভাষা এক। একই সময়ে নেয়া জবানবন্দির বক্তব্যও অভিন্ন। কি করে সম্ভব হলো এ ধরণের জবানবন্দি? তা জানতে জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ তাকে তলব করেন। আগামী ৮ অক্টোবর তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।

মামলা সংশ্লিষ্ট অ্যাডভোকেট নূসরাত ইয়াসমিন জানান, ২০১৮ সালের ২৮ জুন একদিনে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তিনজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হুবহু একই রকম। যা আইন অনুযায়ী হয়নি। পরে আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামকে তলব করেন। একইসঙ্গে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

আসামিপক্ষের এ আইনজীবী জানান, ২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে অপহরণের পর ওই রাতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়। ওই মামলার দুই আসামি আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখ ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে দুই আসামি হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেন। শুনানির পর আবেদনকারী দুই আসামিসহ তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি একই রকম হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য জবানবন্দি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেন। অন্তর হত্যা মামলা এখন ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ