Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বরিশালে লঞ্চের কেবিনে নিহত নারী যাত্রীর ঘাতক গ্রেফতার

৩৬ ঘন্টা পর নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩১ পিএম | আপডেট : ৮:২১ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বরিশাল ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রীবাহি নৌযান ‘এমভি পারাবত-১১’র কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত নারী যাত্রীর ঘাতক মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৩৪)কে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকার মীরপুর- ১ এলাকা থেকে পিবিআই গ্রেফতার করেছে। এদিকে নিহত ঐ মহিলার লাশের পরিচয় মিলেছে। গ্রেফতারের পর মানিরুজ্জামান দাবী করেছে, নিহত নারী জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী (২৯) তার স্ত্রী। ঢাকা থেকে একসঙ্গে বরিশালে আসার সময় লঞ্চে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে লাবনীকে হত্যার পর সে পালিয়ে যায়। বুধবার পিবিআইর বরিশাল কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিহত নারীর সঙ্গে থাকা এক পুরুষকে শনাক্ত করা হয়। এর ভিত্তিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত হন তারা। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকার মীরপুর- ১ এলাকায় দারুস সালাম প্রিন্সিপাল আবুল কালাম রোডে সরকারি আবাসিক এলাকা থেকে মনিরুজ্জামান চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পিবিআই জানিয়েছে, সোমবার সকালে লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দরে পৌছার পর লাশ কেবিনের মধ্যে রেখে নেমে যায় মনিরুজ্জামান। পরে বাসে ঢাকায় চলে যায়। লাবনীর ব্যবহৃত ওড়না ও মুঠোফোন সহ অন্যান্য আলামত মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মনিরুজ্জামান পেশায় রাইড শেয়ার চালক। লাবনী তার তৃতীয় স্ত্রী। অপরদিকে লাবনীর আগেও একটি বিয়ে ছিল। লাবনী তার প্রকৃত স্ত্রী কি-না নাকি তার সঙ্গে পরকিয়ার সম্পর্ক তা নিশ্চিত হতে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পিবিআই জানিয়েছে।
লঞ্চ থেকে লাশ উদ্ধারের পর অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন নৌ পুলিশের পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা থেকে আব্দুল লতিফ মিয়া বরিশালে এসে উদ্ধার হওয়া লাশটি তার মেয়ে লাবনীর বলে শনাক্ত করেন। পরে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুই শিশু ছেলের জননী লাবনীর স্বামী পেশায় ইলেক্ট্রিশিয়ান। বাবা আব্দুল লতিফ মিয়া ও মা মমতাজ চোধুরীর সঙ্গে ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকার বাসায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায়। চাকুরীর প্রলোভনে পরে গত রোববার ঢাকার সদরঘাট থেকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে লঞ্চযোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় লাবনী। ওইদিন রাত ৯ টা পর্যন্ত লাবনীর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার বাবার।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বরিশালে আসা যাত্রীবাহি নৌযান পারাবত- ১১ এর ৩৯১ নম্বর কক্ষ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার আগেই লঞ্চ থেকে নেমে যায় ওই নারীর সঙ্গে থাকা পুরুষটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ