Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্যাক্স দিলে মিষ্টি, না হয় ফাইন খাবেন : আতিকুল ইসলাম

উত্তরে বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড দক্ষিণে বাড়ি উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৩ এএম

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। গতকাল ঢাকা উত্তরে অবৈধ বিলবোর্ড-সাইনবোর্ড এবং ঢাকা দক্ষিণে পাকা বাড়ি উচ্ছেন করা হয়েছে।

ঢাকা উত্তরে মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
গতকাল গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদের সময় জনৈক ব্যবসায়ী ডিএনসিসি থেকে পূর্বেই অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় মেয়র তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর পরে এ কথা বলেন। জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখা তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ায় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ট্যাক্স দিবেন মিষ্টি খাবেন, আর যারা ট্যাক্স দিবেন না তারা ফাইন (জরিমানা) খাবেন।

এদিন গুলশান ২ নম্বরে আজ গুলশানে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এছাড়া প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় তা নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত ৩ দিনে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা ডিএনসিসিকে জমা দিয়ে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অনুমোদন নেন। অভিযান চলাকালে অন্যন্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমি সবাইকে বলব এই শহরটা কিন্তু আমাদের। যে ঘরে আমি থাকি সেই ঘরের প্রতি যদি মায়া না করি, যে ঘরে থাকি সে ঘরে যদি থুথু ফেলি, তাহলে হবেনা। এই যে আজকে বড় বড় ডেভেলপাররা কীভাবে তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, সিটি করপোরেশনকে কোন ধরনের ট্যাক্স না দিয়ে? এই শহরে আপনাদের এত বড় বড় ব্র্যান্ডিং করবেন, আপনি ব্যবসা করবেন, আর সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ট্যাক্স দিবেন না, এটি হতে পারে না। জনগণ চায় তারা ফুটপাত দিয়ে যেন নির্বিঘেœ হাঁটতে পারে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি।

মেয়র আরো বলেন, বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা আছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। অনেকেই গত দুই দিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন। অবৈধ বিলবোর্ড অপসারণ এবং পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে।
দক্ষিণে পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ
গতকাল অঞ্চল-৭ এর গ্রীন মডেল টাউন গেইট সংলগ্ন দক্ষিণ মুগদা এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রাস্তা স¤প্রসারণের কাজে বাধা সৃষ্টি করে তৈরি করা ১টি অবৈধ পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ডিএসসিসি’র সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা বলেন মনিরুজ্জামান বলেন, গত বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ মুগদা এলাকা পরিদর্শন করে সেই এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আতিকুল ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ