রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুড়িগ্রামে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে আগাম রবি শষ্য পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সবজিচাষিরা। ৩য় দফা বন্যার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে আবার নতুন করে সবুজ ফসল ফলাতে মাঠে নেমেছে তারা। জেলার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় রফতানি করা সবজিচাষিরা এবার বন্যায় ফসল হারিয়ে ফেলায় তার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতে। বাইরে থেকে আমদানি করা সবজির উচ্চমূল্যে নাভিশ্বাস অবস্থা সাধারণ মানুষের। এই অবস্থায় দেশীয় পরিচর্চায় বেড়ে ওঠা সবজির লকলক কান্ড আর সবুজ লতাপাতা দেখে মানুষের মুখে হাসি ফুঁটেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর তিনদফা বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার ফলে মাঠে রোপনকৃত ধান, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা, তিল ও মরিচসহ ১৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণরুপে বিনষ্ট হয়। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে ২৭ হাজার ৭৬১ জন কৃষককে পর্যায়ক্রমে সবজিবীজ বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খরিপ-২ এর আওতায় মাঠে ফসল আবাদ হয়েছে ৪৯০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে মুলা ১২০ হেক্টর, লাউ ৭০ হেক্টর, পাটশাক ১৬০ হেক্টর ও লালশাক ১৪০ হেক্টর। এছাড়াও আগাম বন্যায় ক্ষতি কাটাতে শীতের আগেই আগাম বেগুনসহ অন্যান্য শাকসবজি লাগাচ্ছেন অনেক চাষি।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠে চলছে আগাম রবিশষ্য ফসলের সবুজ সমারোহ। সবজিখ্যাত কিছু কিছু এলাকার মাঠ জুড়ে রয়েছে বেগুন, লাউ ও বিভিন্ন শাকের কোমল লতাপাতা বেড়ে ওঠার হাতছানি। কোথাও কোথাও লাল সবুজের সমারোহে ভরে উঠেছে মাঠ। কেউ জংলা ঠিক করছেন। কেউ ব্যস্ত পরিচর্চায়। অনেকে লাউ তুলছেন হাঁটে তুলবেন বলে। এছাড়াও শীতকালিন বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেশ কয়েকজন চাষি। নিজেদের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এবং অধিক লাভের আশায় কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন তারা।
জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের বেগুন চাষি খলিল, আশরাফুল ও মইনুদ্দিন জানান, বাজারে বেগুনের চাহিদা বিবেচনা করে তারা প্রায় দেড় একর জায়গা জুড়ে বেগুন চাষ করছেন। তারা আরও জানান,
প্রতি বিঘায় বেগুন রোপন করতে খরচ লাগে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বেগুন ক্ষেতে রোগ মুক্ত ও আবহাওয়া অনুক‚লসহ বেগুনের ভালো দাম থাকলে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। যাবতীয় খরচ মিটিয়ে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হয়। আর যেসব চাষির অন্যের জমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় কন্ট্রাক নিয়ে বেগুনসহ অন্যন্য সবজি চাষাবাদ করেছেন। তারও যাবতীয় খরচ মিটিয়ে বিঘা প্রতি ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত ২৭ হাজার ৭৬১ জন কৃষকদের মাঝে সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।