রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে নিখোঁজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদীয়মান ইসলামি বক্তা মুফতি মিজানুর রহমান কাশেমীকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। গতকাল সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ভাই এস এস এম সায়েম। লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, পহেলা সেপ্টেম্বর তার কর্মস্থল হাটহাজারী চারিয়া কালা জামে মসজিদ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তার পথরোধ করে তাকে বিভিন্নভাবে প্রশ্ন করতে থাকে। বিষয়টি তিনি টেলিফোনে তার বন্ধু শওকতকে জানান। বন্ধু শওকত বিষয়টি ওই মাওলানার স্ত্রীকে অবহিত করেন। সাথে সাথে তার স্ত্রী তার সাথে মোবাইলে যোগযোগ করতে চাইলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তার সন্ধান চেয়ে ২ সেপ্টেম্বর হাটহাজারী থানায় জিডি করা হয়। মোবাইল ট্রেকিংয়ে তার অবস্থান সিলেটের জকিগঞ্জের রতনগঞ্জ এলাকা সনাক্ত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই এলাকায় তল্লাশী চালালেও তার সন্ধান মেলেনি। এরপর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অপহৃতের মোবাইল দিয়ে ফোন করে পরিবারের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি র্যাব ১৪-কে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ছেলেকে ফেরত পেতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বৃদ্ধ পিতা আব্দুল ওয়াহাব। শেষ বিদায়কালে ছেলেকে পাশে পাবার আকাঙ্খা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ বয়সে আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আমি চাই মৃত্যুর পর আমার নিখোঁজ সন্তান আমার দাফন কাফনে উপস্থিত থাকবে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা ইদ্রিস, মুফতি এনাম, রফিকুল ইসলাম রতন ছাড়াও তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।