Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বন্যায় লন্ডভন্ড ব্রিজ : সাঁকোই ভরসা

দুই বছরেও পুনর্নিমাণ হয়নি

আবেদুর রহমান স্বপন, গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার একটি ব্রিজ গত বছরের বন্যায় লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এরআগে গত ১ বছরে এ সড়কের কোনো সংস্কার করা হয়নি। ভেঙে যাওয়া সড়কগুলো ঠিক না করায় চলতি মাসে টানা বৃষ্টিতে বেড়ে গেছে জেলাবাসীর দুর্ভোগ।
পরবর্তীতে এলজিইডির পক্ষ থেকে বন্যায় বিধস্ত ব্রিজটি পুর্ননির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবশ্য বন্যার পর ফুলছড়ি উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাবমারী ব্রিজের স্থানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে অস্থায়ী ভিত্তিতে মানুষ এবং মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য হালকা যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনে চলাচলের ফলে বাঁশের সাঁকোগুলো ইতোমধ্যে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ফলে পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার উপর দিয়ে এখন চলাচল করতে হচ্ছে। কৃষি পণ্য অন্যত্র আনা নেয়ার ক্ষেত্রে কৃষকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় বন্যায় বিধ্বস্ত গুণভরি রাস্তায় পাবমারী ব্রিজটি গত দু’বছরেও পুর্ননির্মাণ করা হয়নি। ফলে ওই পথে ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। হালকা যানবাহন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে। ফলে ওইসব এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য বেচাকেনায় চরম দুর্ভোগের মুখে পড়ছে স্থানীয় কৃষকরা। গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামীসহ ৩৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ও ফুলছড়ি উপজেলা সদর থেকে গুণভরি রাস্তায় পাবমারী ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে যায়। ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মুখে হয়ে পড়ে। এতে করে ফুলছড়ি উপজেলা সদরের সাথে কয়েকটি এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পূর্ব ছালুয়া গ্রামের বাসিন্দা মিলু আহমেদ, টিপু সুলতান, সুজন মিয়া, বাকী বিল্লাহসহ বেশ কয়েকজন জানান, ব্রিজটি দুই বছর থেকে ভেঙে পড়ে আছে, নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। স্থানীয় আ.লীগ নেতা শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভোগ কমছে না। ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চালকসহ বেশ কয়েকজন পথচারী বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। কবে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবেন সেটা কেউ বলতে পারছেন না। তারা ব্রিজটি দ্রæত নির্মাণের দাবি জানান।
ফুলছড়ি উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. এমদাদুল হক মোল্লা জানান, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে বন্যার পর ধসে যাওয়া ব্রিজটি পুর্ননির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন মিললেই ব্রিজটি পুর্ননির্মাণে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ