Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্যাপের পানি পান করে ৭ মাদ্রাসা ছাত্র হাসপাতালে

প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : ট্যাপের পানি পান করে মাদ্রাসার ৭ ছাত্র অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার তালাই কুন্দলিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হয়ে পড়া মাদ্রাসা ছাত্রদের সোমবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরা হাসপাতালের ১৩ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অসুস্থ ছাত্ররা আশঙ্কামুক্ত। তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটছে।
অসুস্থ ছাত্ররা হলো- গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট এলাকার হাফেজ আলী আকবরের ছেলে মিততাহুল জান্নাতি (৭) ও সাজ্জাদ আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (১১), রাহী পানিহার গ্রামের সানাউল্লাহর ছেলে আকতার রহমান (৯) ও রিয়াজ আলীর ছেলে সিফাত আলী (১২), শিমলা এলাকার আনারুল ইসলামের ছেলে সাব্বির হোসেন (১২) ও মোখলেসুর রহমানের ছেলে সাহাবুদ্দিন (১৩) এবং তালাই কুন্দলিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে নাইম হোসেন (১৪)।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এসব ছাত্ররা জানায়, সোমবার আছরের নামাজের পর থেকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রথমে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করে। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।এ ব্যাপারে মাদ্রাসার শিক্ষক ও অসুস্থ ছাত্র মিততাহুল জান্নাতির বাবা হাফেজ আলী আকবর জানান, মাদ্রাসার ছাদে পানি সংরক্ষণের জন্য ট্যাঙ্ক রয়েছে। ওই ট্যাঙ্কের পানি পান করে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্তমানে তারা সুস্থ রয়েছে।
দায়িত্বরত চিকিৎসক অধ্যাপক খলিলুর রহমান জানান, ট্যাঙ্কের পানির সঙ্গে বিষক্রিয়ার কারণে ছাত্ররা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। প্রত্যেকের পৃথকভাবে টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। তবে বর্তমানে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ