বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি আলোচিত মামলা হচ্ছে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি অপহরণ মামলা। এই মামলায় জামিনে আছে জিসার কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ, অটোচালক রাকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান। আর জিসা মনির স্বামী ইকবাল পক্ষে আইনজীবী না থাকায় এখনও কারাগারে সে। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান এর আদালতে জামিন পান আব্দুল্লাহ ও রকিব। এর আগে, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে একই আদালত থেকে জামিন পান মাঝি খলিলুর রহমান।
৩১ আগস্ট আসামি ইকবালকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উঠালে বিজ্ঞ আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
৯ আগস্ট আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমান এরা জিনা মনিকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার’ দায় স্বীকার করে আদালতে ক্রস ফায়ারের ভয়ে মিথ্যা জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে পুলিশ ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই ১৫ বছর বয়সী কিশোরী জিসা শহরের দেওভোগের মা-বাবার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় একমাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন কিশোরীর বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
ওই মামলায় পুলিশ আব্দুল্লাহ, রকিব ও নৌকার মাঝি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৯ অগাস্ট তারা আদালতে জবানবন্দিতে তারা ‘অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার’ দায় স্বীকার করেন।
এই ঘটনার ৫১ দিন পর ২৩ অগাস্ট ওই কিশোরী জীবিত ফিরে আসে জিসা মনি। জানা যায়, সে ইকবাল নামের এক যুবককে বিয়ে করে বন্দর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে সংসার পাতে। ৩১ আগস্ট (সোমবার) মামলার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনকে বরখাস্ত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।