পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই গতকালও দেশে ৩৪ মারা গেছেন। আর ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন শনাক্ত ১২৮২ জন। এ অবস্থায় গণপরিবহনগুলো কতটা নিরাপদ? এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বৈশ্বিক প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতিতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়ে চালু করা হয়। পরবর্তীতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘যত সিট তত যাত্রী’ এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ করে দিয়ে চলছে গণপরিবহন। যেখানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ কম হলেও রাজধানীতে চলাচল করা কোনো গণপরিবহণেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। দ‚রপাল্লার বাসে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা মানা হলেও সিটি সার্ভিসের ক্ষেত্রে তোয়াক্কা করছে না কেউই।
রাজধানীতে চলা বেশির ভাগ লোকাল বাসেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করতে দেখা যাচ্ছে। দাঁড়িয়ে নেয়া হচ্ছে যাত্রী। সরকারি নির্দেশনা সত্তে¡ও এসব বাসে জীবাণুনাশকের তেমন কোনো সরঞ্জাম নেই।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মতে, এ ধরনের সমস্যা সমাধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। গত ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে মালিক ও শ্রমিকদের যানবাহন চালানোর আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন না করা এবং স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম অনুসরণ করার মতো সরকারি নির্দেশনাগুলো বেশির ভাগ গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকরাই মেনে চলছেন না। এমনকি মাস্কও ব্যবহার করছেন না বাসের অনেক কর্মী এবং যাত্রীরা।
বাসের ড্রাইভার ও কন্ডাক্টররা যুক্তি দিয়ে বলেন, বাসে ওঠার সময় যাত্রীরা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে চান না এবং তাদের অনুরোধ এড়িয়ে যান। তবে বাস কর্তৃপক্ষেরই স্বাস্থ্য নির্দেশিকার দিকে মনোযোগ নেই বলে অভিযোগ যাত্রীদের। চিটাগাং রোড থেকে মতিঝিলে আসা হিমালয় পরিবহণের এক যাত্রী বলেন, ব্যক্তিগত কোনো বাহন না থাকায় যাতায়াতের জন্য ঝুঁকি নিয়ে গণপরিহনে ওঠা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু চালক ও কন্ডাক্টররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন না এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন করেন যা করোনা সংক্রামণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। মো. রায়হান নামে অরেকজন যাত্রী বলেন, সরকার বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করলেও, এখনো রাস্তায় কম সংখ্যক বাস চলাচল করছে, বিশেষ করে দুপুরের পরে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন চার হাজার ৭০২ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৩৬ হাজার ৪৪ জন। গণপরিবহনে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা, যেমন মাস্ক না পরা বা সিট জীবাণুমুক্ত না করার ফলে যে কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে ঝুঁকি হ্রাস করার উপায়ও রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কথা বলার সময় বা হাঁচি-কাশি থেকে মানুষের ড্রপলেটের মাধ্যমেই মূলত ভাইরাস বেশি ছড়ায়। অর্থাৎ গণপরিবহন এবং অন্য কোথাও সংক্রমণের বিস্তার হ্রাস করার সর্বোত্তম উপায় হলো মাস্ক পরা এবং অন্যের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরে থাকা। কিন্তু বাসগুলোতে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। আর বেশির ভাগ সময়ই ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী বহন করা হচ্ছে। যার ফলে বাসে পাশাপাশি বসে থাকা যাত্রীদের মাঝে নির্দিষ্ট দূরত্ব রক্ষা হচ্ছে না এবং এর ওপরে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে নন-পিক আওয়ারে ভ্রমণ করা, স্টেশন এবং স্টপেজগুলোতে ভিড় এড়িয়ে চলা এবং যখন সম্ভব হবে তখন গণপরিবহনে এক সারি আসন বাদ দিয়ে বসার পরামর্শ দিয়েছে ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
করোনাভাইরাস এবং এটি কীভাবে ছড়ায় সে সম্পর্কে এখনো অনেক কিছুই অজানা থাকলেও বিশেষজ্ঞরা জানান, পরিবহন ব্যবস্থার করণে এখনো বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।