পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি একজন রোহিঙ্গাও মিয়ানমারে ফিরে যায়নি। চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার তার দেশে রোহিঙ্গা ফেরাতে অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে চলছে লড়াই ও গোলাগুলি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল শনিবার সকালে ২৭তম আসিয়ান রিজিওনাল ফোরামের (এআরএফ) ভার্চুয়াল সম্মেলনে এসব কথা বলেন। ভিয়েতনামের উপ প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাম বিন মিনহ এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে গণহত্যার হাত থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১১ লাখ নিপীড়িত মানুষকে মানবিক আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ । বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী চেতনায় গঠনমূলক কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানে বাংলাদেশ আগ্রহী। মিয়ানমার আমাদের বন্ধুদেশ তাই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে তিনটি সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের পরে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছিল। তারা তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতেও সম্মত হয়েছিল এবং বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা সম্মত হয়। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে আজ অবধি কেউ মিয়ানমারে ফিরে যায়নি এবং অনুকূল পরিবেশ তৈরির পরিবর্তে রাখাইন রাজ্যে লড়াই ও গোলাগুলি চলছে।
তিনি বলেন, আমাদের আশঙ্কা এই যে, যদি এই সমস্যাটি দ্রুত সমাধান না করা হয় তবে এই সংকট উগ্রবাদের পকেটে পরিণত হতে পারে। যেহেতু সন্ত্রাসীদের কোনোও সীমানা নেই, তাই এই অঞ্চলে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে যা আমাদের শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য হুমকি স্বরূপ ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মূলত তাদের স্বদেশে ফিরছে না কারণ তারা সুরক্ষার বিষয়ে তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আস্থা ঘাটতি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা মিয়ানমারকে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ আসিয়ান, চীন, রাশিয়া, ভারত বা তাদের পছন্দের অন্যান্য বন্ধু দেশ থেকে অ-সামরিক ও বেসামরিক পর্যবেক্ষকদের জড়িত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। এগুলো টেকসই ফেরতের জন্য আস্থার ঘাটতি হ্রাস করতে পারে। আমরা আমাদের এআরএফ অংশীদারদের কাছ থেকে এ বিষয়ে সমর্থন প্রার্থনা করি যাতে এই অসহায় রোহিঙ্গারা সুরক্ষা এবং মর্যাদায় তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারে। সেখানে পুনর্বাসিত করতে এবং তাদের সমাজে পুনরায় সংহত করতে পারে। একবার তারা স্বদেশে ফিরে গেলে তারা মিয়ানমারের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।