সরকার করোনা আক্রান্ত রোগীর ভুল পরিসংখ্যান দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজকে কত লোক মারা যাচ্ছে? সংবাদে বলে কয়েকজনের কথা। অনেক লোক মারা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। শুক্রবার সংবাদে বেরিয়েছে যে, সরকার যেটা ডাটা তৈরি করছে করোনায় কতজন আক্রান্ত তার মধ্যে প্রায় ৮২ হাজার লোকের নাম বাদ পড়েছে। তার মানে সঠিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সরকার পারছে না, কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

গতকাল শনিবার ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে দোহার-নবাবগঞ্জে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর তিনি শোল্লা ও ইকুরিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, হঠাৎ একটা বৈর্শ্বিক মহামারীর ধাক্কা- এর জন্য যে ঔষধ, এর জন্য যে হাসপাতাল, এর জন্য যে স্বাস্থ্য বিধি তৈরি করা-এটা সরকার করেনি। মানুষ রাস্তায় মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের বারান্দায় মারা যাচ্ছে, কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সর ভেতরে মারা যাচ্ছে।

রিজভী বলেন, ঢাকা থেকে এই প্রত্যন্ত অঞ্চল, এখানে কোনো লোক করোনায় আক্রান্ত হলে পরে সে কিভাবে বাঁচবে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। জনগণের সরকার থাকতো, জনগণের জবাবদিহিমূলক সরকার থাকতো সে বাধ্য হতো যে, না আমাকে আগামী দিনে ভোট নিতে হলে আজকে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে হবে। ওদের তো ভোটের দরকার নাই, ওদের নির্বাচনের দরকার নাই যার কারণে ওরা জনগণকে কোনো পাত্তা দেয় না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওরা ক্ষমতা দখলে রাখার জন্য, চিরস্থায়ী করার জন্য পদ্ধতি নিয়েছে কয়েকটি। বিচারবর্হিভূত হত্যা। আপনার ছেলে অন্য দল করে, ভিন্নমত পোষণ করে, সরকারের সাথে একমত পোষণ করে না। রাতের অন্ধকারে গিয়ে দুইদিন-তিন দিন নেই, হয়ত ধান ক্ষেত্রে তার লাশ পাওয়া যাবে। না হয় চিরদিনে তার হদিস পাওয়া যাবে না। আজকে দেখুন, সেনাবাহিনী একজন অবসরপ্রাপ্ত অফিসার মেজর সিনহা সাহেব তাকে থানার একজন ওসি ধরে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিলো। কোনো বিচার নাই, আইন নাই, কোনো কিছুই নাই। একজন সামরিক বাহিনীর অফিসারের যদি এই পরিণতি হয়, একজন ইউএনও তার মাথায় কুপিয়ে দিলো, তার আজকে মরনাপন্ন অবস্থা। চারিদিকে খুন, গুম, হত্যা-এটাই হচ্ছে সরকারের কর্মসূচি। সরকার চাচ্ছে একটা এতিম জেনারেশন তৈরি করতে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এাণ সামগ্রি বিতরণকালেও সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগও করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।