পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়ার মায়ের সাথে কথা বলেই তাকে নিয়ে যান নুর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার। রিমান্ডে এমন তথ্যই জানিয়েছেন অপহরণ মামলায় গ্রেফতার হওয়া লোপা। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। পরে গত শুক্রবার রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জানা যায়, জিনিয়ার মা সেনুরা বেগম মেয়েকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে অপরিচিত দু’জন নারীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা সেনুরা বেগম। এরপর থেকে জিনিয়ার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় অপহরণের মামলা করেন তিনি। ওই মামলার পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় নুর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওযা হয়। এ সময় অপহরণের কথা অস্বীকার করেন এবং জিনিয়ার মা সেনুরা বেগমের সাথে কথা বলেই তাকে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে নয় বছরের শিশু জিনিয়াকে অপহরণ করার নেপথ্যে কী ছিল এ বিষয়ে লোপাকে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে শিশুটিকে লালন পালন করার জন্যই তার মায়ের সাথে কথা বলে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করছেন লোপা। পরে জিনিয়াকে নারায়ণগঞ্জে তার বোনের বাসায় রেখেছিল লোপা।
এদিকে, দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নুর নাজমা আক্তার লোপাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার ডিবি পুলিশের এসআই শাজাহান মিয়া তাকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন। আর লোপার আইনজীবী তার জামিনের জন্য আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তাকে জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।