Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশালে নির্যাতন করে স্বামী হত্যার স্বীকারোক্তি আদায়

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিচার চাইলেন গৃহবধু

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩৬ পিএম

বরিশালে নির্যাতন করে স্বামী খুনের স্বীকারোক্তি আদায় করায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করেছেন গৃহবধু আমিনা আক্তার লিজা। শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে লিজা বলেন, মহানগর পুলিশের কেতোয়ালী থানার এসআই বশির আহমেদ ও এসআই ফিরোজ আল মামুন সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করে। কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তখন থানায় উপস্থিত থাকায় তারাও বিষয়টি অবগত ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিতা লিজা।
বরিশালের দলিল লেখক নিহত রেজাউল করিম রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজার (৩০) বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামে। ২০১৯ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে নিজ ঘরে খুন হন রেজাউল করিম। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ তদন্তে নেমে লিজাকে গ্রেফতার করে। একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় লিজার কথিত প্রেমিক মাসুম নামক এক ব্যক্তিকে। পুলিশী হেফাজতে থাকাবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারী লিজার কথিত প্রেমিক মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয় লিজা। মামলাটি পরবর্তিকালে অধিকতর তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
তদন্তকালে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ছগীর তিন চোরকে গ্রেফতার করলে তারাও রিয়াজকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। তারা বলেছে, ঘরে চুরি করতে ঢুকলে রিয়াজ জেগে ওঠায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফলে এ মামলটি বর্তমানে বরিশালে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশির আহমেদকে অন্য একটি ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রোববার সাময়িক বরখাস্ত করেছে মহানগর পুলিশ প্রশাসন।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে লিজা বলেন, রিয়াজ খুন হওয়ার সময় তিনি অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তাকে অমানষিক নির্যাতন সহ ভাই-বোনকে আটকের পাশাপাশি যৌন নির্যাতন করারও ইঙ্গিত দিয়েছিল এসআই বশির। এমনকি শেখানো স্বীকারোক্তি না দিলে আবারও রিমান্ডে এনে নির্যাতনের ভয় দেখানো হয়। আদালতে নেবার পর তাকে একই ধরনের তিনজন কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলায় তিনি বুঝতে পারেননি আসল বিচারক কে।
লিজার অভিযোগ, নিহত স্বামী রিয়াজের ভাই মনিরুল ইসলাম রিপন তাকে ও তার সন্তানকে সম্পত্তি বঞ্চিত করার জন্য এসআই বশির আহমেদের যোগাসাজশে স্বামী হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।



 

Show all comments
  • জসিম ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৩৫ পিএম says : 0
    লোবে পাপ পাপে মৃত।এখানে বাদির ভাই মনির ও সাংবাদিক রিমন এ হত্যা কান্ডের সাথ পরখো ভাবে জরিতো।কারন হত্যার সুরু থেকে এ পর্যন্ত তাদের মোটিব দেখলে বোঝা যায়।কারন রিয়াজ হত্যার মুল কারন হিসাবে তারা লিজা এবং মাছুমের পরোকিয়াকে দাই করে।কিন্তু দুষ্ট দুই পুলিশকে নিয়েও তা প্রমান করতে পারে নাই।জদি পারে তবে দেখানো হোক লিজা ও মছুমের একমিনিটের কল রেকট।অথবা মাছুম দিনে অথবা রাতে রিয়াজদের বারিতে গেচে এমন এক জনকে যে তার সন্তানের মাথায় হাত দিয়া বলবে হা আমি মসুমকে রিয়াজদের বারিতে ডুকতে দেখছি।পারবে না কারন মাসুম রিযাজদের বারিতে কোন দিন জায়নি।তা হল মাসুম ও লিজা কি গায়বি ভাবে পরোকিয়া করচে।সুতারাং লিজাকে ফাসাত মাসুমকে পাটার বলি হিসাবে ব্যাবহার করচে।যেহেতু মাসুম রিয়াজের কলিক ছিলো। আর একটা কথা।পুলিশের প্রথম দুই পুলিশের তদন্ত দেখে কৌতুকার শাহিনের কৌতুকের চেয়েও হস্যকর। এপুলিশদেরকে আবার চৌকস বলা হয়।রাত তিনটায় জদি মাছুম রিয়াজকে হত্যা করে পালাইয়া আসে সে আবার সকাল সতটা আটার দিকে পুলিশ ভর্তি বারি মৃত ব্যাকতিকে দেখতে জেতে পারে।এবং লাশ নিয়া পুলিশের সাতে বরিশাল আসতে পারে।এখন অনেক বলবে তা হলে মাছুম পালালো কেনো।রিমান্ডে দিচে এমন লোক বলতে পারবে পালালো কেনো।যার বর্ননা লিজা দিচে।যে বলবে পালালো কেন সেও পালাতো যদি তার রিমান্ড সপ্মর্কে আইডিয়া থাকে। এখন মনির সাবের সুরু থেকে এ পর্যন্ত ভুমিকা দেখে মমনে হয় পরোখ ভাবে মনির সাহেব এ হত্যার সাতে জরিত।কারন রিয়াজের দুই তিন কোটি টাকার সম্পতিই মুল কারন।কারন সে সে দিন থানায় মিনি পিকনিক পাটির আয়াজন করছিলো বলে জানায়।অতচো ভাইর মৃতুতে কোনো শোকাহত হয় নি।মনির সাব থানা কাভারেজ দিচে সংবাদিক রিমন সাবের মাধ্যমে। এখন কথা হল মাসুমকে তারা কেনো ফাসালো।১/সমাজ সেবার প্রতিদন্দিতর কারন।২/মাসুমকে সহজেই লিজার পরোকিয়া প্রেমিক সাজানো গেছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ