বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালে নির্যাতন করে স্বামী খুনের স্বীকারোক্তি আদায় করায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করেছেন গৃহবধু আমিনা আক্তার লিজা। শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে লিজা বলেন, মহানগর পুলিশের কেতোয়ালী থানার এসআই বশির আহমেদ ও এসআই ফিরোজ আল মামুন সহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে পুলিশী হেফাজতে নিয়ে অমানষিক নির্যাতন করে। কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তখন থানায় উপস্থিত থাকায় তারাও বিষয়টি অবগত ছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তার বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিতা লিজা।
বরিশালের দলিল লেখক নিহত রেজাউল করিম রিয়াজের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজার (৩০) বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর গ্রামে। ২০১৯ সনের ১৮ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে নিজ ঘরে খুন হন রেজাউল করিম। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ তদন্তে নেমে লিজাকে গ্রেফতার করে। একই সময়ে গ্রেফতার করা হয় লিজার কথিত প্রেমিক মাসুম নামক এক ব্যক্তিকে। পুলিশী হেফাজতে থাকাবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারী লিজার কথিত প্রেমিক মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয় লিজা। মামলাটি পরবর্তিকালে অধিকতর তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
তদন্তকালে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ছগীর তিন চোরকে গ্রেফতার করলে তারাও রিয়াজকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। তারা বলেছে, ঘরে চুরি করতে ঢুকলে রিয়াজ জেগে ওঠায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফলে এ মামলটি বর্তমানে বরিশালে আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বশির আহমেদকে অন্য একটি ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রোববার সাময়িক বরখাস্ত করেছে মহানগর পুলিশ প্রশাসন।
শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে লিজা বলেন, রিয়াজ খুন হওয়ার সময় তিনি অন্য কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তাকে অমানষিক নির্যাতন সহ ভাই-বোনকে আটকের পাশাপাশি যৌন নির্যাতন করারও ইঙ্গিত দিয়েছিল এসআই বশির। এমনকি শেখানো স্বীকারোক্তি না দিলে আবারও রিমান্ডে এনে নির্যাতনের ভয় দেখানো হয়। আদালতে নেবার পর তাকে একই ধরনের তিনজন কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে বিভ্রান্তিতে ফেলায় তিনি বুঝতে পারেননি আসল বিচারক কে।
লিজার অভিযোগ, নিহত স্বামী রিয়াজের ভাই মনিরুল ইসলাম রিপন তাকে ও তার সন্তানকে সম্পত্তি বঞ্চিত করার জন্য এসআই বশির আহমেদের যোগাসাজশে স্বামী হত্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।