বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিৃবতিতে তিনি এ আহবান জানান।
আ স ম রব বলেন, গণবিরোধী নির্মম পুলিশী ব্যবস্থার বিপরীতে জনগণের জীবন, অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করে ‘পুলিশ কমিশন’ গঠন করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন বেআইনি কর্মকা-ে পুলিশের সম্পৃক্ততায় প্রমাণ হয় বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা দিয়ে আইনের শাসন ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়না। একজন নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশি হেফাজতে হত্যা করা দু’শ বছরের বৃটিশ আমলেও সংঘটিত হবার প্রমান পাওয়া যায়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্রে প্রতিনিয়ত নাগরিককে খুন করা রাষ্ট্রীয় কর্তব্যে রূপান্তরিত হয়েছে যা মুক্তিযুদ্ধকে অসম্মানের শামিল। পুলিশকে স্বাধীন দেশের উপযোগী গণমুখী, মানবিক, দক্ষ, উচ্চ মূল্যবোধ সম্পন্ন এবং শাসনতান্ত্রিক দায়বদ্ধতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি।
জাসদ সভাপতি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়, গায়েবি মামলা দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা, নিরপরাধ মানুষকে অপরাধী সাজানোসহ ব্যাপক বেআইনি কর্মকা- সংঘটনের মাধ্যমে জনজীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে এবং পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এই বুলি এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের বেআইনি আদেশ-নির্দেশ পালন করতে করতে পুলিশ তার মৌলিক কর্তব্য ভুলে গেছে যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। পুলিশের কর্মকান্ড নিয়ে জনমনে যে ক্ষোভের জন্ম হচ্ছে তাও নিরসন করা খুব জরুরি। স্বাধীন দেশের উপযোগী পুলিশ বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে বিদ্যমান পুলিশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য ‘পুলিশ কমিশন’ গঠন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।