পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই মন্ত্রিসভায় রদবদল হচ্ছে। আসতে পারেন কয়েকজন নতুন মুখ। চলতি সপ্তাহে এই রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অন্তর্ভুক্তি এবং দুই থেকে তিনটি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সীমিত আকারে আবারও মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। যাদের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বানানো হবে তাদের সর্ম্পকে মাঠ থেকে গোযেন্দা রিপোর্ট ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সরকার ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একটি এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকার গঠন ও রাষ্ট্রাচার শাখা থেকে নতুন মন্ত্রিসভার গঠন প্রক্রিয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক যুগ্মসচিব ইনকিলাবকে বলেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংসদ অধিবেশন থাকার কারণে তা হয়নি। এ সপ্তাহে যে কোন দিন হতে পারে।
অবশ্য মন্ত্রিসভা রদবদল প্রসঙ্গে গত জুলাই মাসে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইনকিলাবকে বলেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এমন অন্তর্ভুক্তি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না তা আমি জানি না।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ও রদবদলের বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও গুঞ্জন চলে আসছে। ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুর পর আলোচনায় আরও জোর পায়। তবে করোনায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি এতদিন আগায়নি। ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর থেকে মন্ত্রণালয়টি ফাঁকা রয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ে এখনও পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে শিগগিরই মন্ত্রিসভায় নতুন কাউকে যুক্ত করে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, ত্রুটি-বিচ্যুতিসহ বিভিন্ন অভিযোগ, আলোচনা-সমালোচনা চলে আসছে। স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দায়ী করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পদত্যাগের দাবিও করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংসদের সদ্যসমাপ্ত নবম অধিবেশনেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। সংসদ সদস্যরা পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছেন। সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাহিদ মালেক স্বপনকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও করেন।এর আগে জুন মাসের বাজেট অধিবেশনেও একই দাবি করা হয়েছিল সংসদে। বিভিন্ন দিক থেকে এই সমালোচনার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও একটা গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া আরো বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তন আসতে পারে। সে মন্ত্রণালয় গুলো হচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, দুযোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গুঞ্জন রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তনের। বর্তমানে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তাকে এই মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে পুণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া পানি সম্পাদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমকে পদোন্নতি দিয়ে প্রতিমন্ত্রী এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে পদোন্নতি দিয়ে মন্ত্রী করার সম্ভবনা রয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও ঝালকাঠি-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব বজলুল হক হারুন। তিনি ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সাধারণ নির্বাচনে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থাস্থী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর নামও আলোচিত হচ্ছে। সউদী আরবে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম মসীহ’র নামও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নাম বেশ আলোচিত। সব মিলে তিন জনের নাম আলোচিত হচ্ছে। এছাড়া ফারুক খান, নানক বা আব্দুর রহমানকেও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া দুই একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িতপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর পদোন্নতি হওয়ারও গুঞ্জন রয়েছে।
টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দুজনের ঠাঁই হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান জাহিদ মালেক এবং প্রতিমন্ত্রী হন ডা. মুরাদ হাসান। পরে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর দ্ব›দ্ব দেখা দেয়। এর ফলে মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আর নতুন করে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
গত বছর ১৩ জুলাই সর্বশেষ মন্ত্রিসভার স¤প্রসারণ হয়। ওই দিন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ নেত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আর প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ পদোন্নতি পেয়ে মন্ত্রী হন। তারপর মন্ত্রিসভায় আর নতুন কেউ যুক্ত হননি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত বছরের ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে। ওই দিন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাড়াও ২৫ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভার যাত্রা শুরু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।