পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় অবশেষে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া এ ঘটনায় রিমান্ডে থাকা নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাসকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই আজ খোলা হবে। এরপর মেডিক্যাল বোর্ড মিটিংয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো থাকলে আজ এইচডিইউতে থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে। এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে ইউএনও ওয়াহিদার সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ইউএনও ও তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তারপর ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় ইউএনও ওয়াহিদার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করা হয়। অস্ত্রোপচার শেষেই তাকে ৭২ ঘন্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউত) স্থানান্তর করা হয় তাকে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে দিনাজপুর অফিস জানায়, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার উপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার নবিরুল ইসলাম ও সান্টু চন্দ্র দাসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইসমাইল হোসেনের আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তার কোন আবেদন না থাকায় আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। দিনাজপুর কোর্ট ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন জানান, মামলায় কোন আবেদন না থাকায় আসামি দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া মামলার প্রধান আসামি যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল হককে আজ ৭ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে ঘোড়াঘাট থানার ওসি মো. আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।তার স্থানে আজিম উদ্দিন নামে একজনকে ওসির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ঘোড়াঘাট উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের মিনারুল ইসলাম ও হুমায়ন। তারা দু’জনই উপজেলা নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে কর্মরত শ্রমিক বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।