বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের রাজনগর হলদিয়া গ্রামের সামনে গুমাই নদীতে বালু বোঝাই নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ওসি (তদন্ত) সিরাজুল ইসলাম ও স্থানীয় বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম হাদিছুজ্জামান বেচেঁ যাওয়া যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানান, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থেকে ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনা জেলার ঠাকুরাকোনায় আসার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজনগর হলদিয়া গ্রামের সামনে গুমাই নদীতে বালু বুঝাই একটি ষ্টিল বডির নৌকার সাথে ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ট্রলরটি কাৎ হয়ে ডুবে যায়। ট্রলারের বেশীর ভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকেই নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে চার জন শিশু এবং ৫ জন মহিলা রয়েছে। যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৯ জনের বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর আর এক জনের বাড়ী নেত্রকোনা জেলা সদরের মেদনী গ্রামে। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে রয়েছে মধ্য নগর এলাকার ওয়াহাব মিয়ার স্ত্রী লুৎফুন্নাহার বেগম (২৬) ও তার কন্যা ইয়াসমিন (৩), হামিদা খাতুন (৪৫), মজিদা আক্তার (৩০), অনিক (৫) জাহিদ (৩), লাকি আক্তার (৩৫), টুম্পা (৫), সুলতানা আক্তার (৪৫) এবং নেত্রকোনা জেলা সদরের মেদনী গ্রামের মুজাহিদ হোসেন (২০)। স্বজনদের দাবী এখনও ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। তারা হলো, মোফাজ্জল হোসেন (৩৭), ফাতেমা আক্তার (৪৫), রতন মিয়া (৩৫) ও মনিরা আক্তার (৫)। স্বজনদের আহাজারীতে এলাকার বাতাস ক্রমশ ভারী হয়ে উঠেছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। যাত্রীবাহী ট্রলারটি উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ট্রলার চালক ও বালু বুঝাই নৌকার চালক পালিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় মৃতদের লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান জানান, মৃতদের লাশ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া ও দাফন কাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক মধ্যনগরের নিহত ৯টি পরিবারের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে এবং নেত্রকোনা সদরের মেদনী গ্রামের নিহত একটি পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।