Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমদানী দর না বাড়লে বন্দর পার হতেই বাংলাদেশে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ

মাহফুজুল হক আনার/মোস্তাফিজুর রহমান মিলন | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:১১ পিএম

ভারত পেয়াজ আসছে আগের দামেই। কিন্তু বন্দর পার হতেই বাংলাদেশে পেয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রকার ভেদে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রকারভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে। অথচ ১৫০ ডলারে ভারত থেকে আমদানী করা এই পেয়াজ এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের হিলি স্থল বন্দরে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৪ টাকা সপ্তাহের ব্যবধানে একই দামে আনা পেয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। বন্দর থেকে অন্যান্য এলাকায় যেয়ে এই দাম আরো বেড়ে যাচেছ। অথচ পেয়াজ আমদানী হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চলতি মাসের ৭ দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৯১ ট্রাকে ৫ হাজার ৪শ ৮ মে:টন পেয়াজ আমদানি করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল কোন কারন ছাড়াই পেয়াজের দাম বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের নজরদারী না থাকাকেই দায়ী করছে।

হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, আমদানিকারকরা বিভিন্ন অযুহাতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের অনেক সময় তর্ক করতে হচ্ছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের বাজার সহনশীল ছিলো। এখন আবার বেড়েছে। হিলিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না। যার কারনে অসাধু আমদানিকারকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে করে আমরা সাধারণ ক্রেতারা সমস্যায় পড়ছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ভারতে কিছু অঞ্চলে বন্যা হওয়ার কারনে পেঁয়াজের চালান নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য ভারতেই পেঁয়াজের দাম বেশি। আমদানি কারকদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। আমদানি বেশি হলে আগামী ২০ তারিখের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে বলে জানান তিনি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আমি হিলি বন্দরের বড় বড় পেঁয়াজ আমদানি কারকদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। হিলিতে ১২ তারিখে টিসিবির ৪শ মে: টন পেয়াজের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। টিসিবির পেয়াজ আমদানি হলে দাম কমবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ