পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার পরিচিত মুখ ফুল বিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে(৯) অবশেষে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সর্বশেষ জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফটকে অপরিচিত দুই তরুণীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা শিমু। এরপর থেকে জিনিয়ার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন জিনিয়ার মা শিমু। এরপর তাকে উদ্ধারে তৎপরতা চালায় পুলিশ। অবশেষে সোমবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে জিনিয়াকে উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি। এদিকে জিনিয়া নিখোঁজের পরপরই তাকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম জানান, শিশু জিনিয়াকে অপহরণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ওই নারীর নাম নূর নাজমা আক্তার (লোপা তালুকদার) (৪২)। সোমবার দিবাগত রাত একটা ১০ মিনিটে ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিম জিনিয়াকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণকারী লোপা তালুকদারকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবির কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ভিকটিম জিনিয়া ঢাবির টিএসসি চত্বরে ফুল বিক্রয় করতো। সে ছোটবেলা থেকেই মা শিমু বেগমের সঙ্গে টিএসসিতে থাকতো। জিনিয়ার মা গত ২ সেপ্টেম্বর মেয়ের নিখোঁজের বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তার ওই সাধারণ ডায়েরির সূত্রে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য মতে জানা যায়, দুই জন নারী ভিকটিমকে ফুচকা খাওয়ায় এবং টিএসসি এলাকায় তাকে নিয়ে ঘোরাফেরা করে। এরপর ভিকটিমকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত লোপা তালুকদার অসৎ উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জিনিয়াকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।