রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার পলাতক মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ ডা. মো. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে গত ৫ আগস্ট তার বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা ছামিউল হক। এরপর থেকে মেয়র রোকন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মামলা ও পৌরসভা সূত্র জানা যায়, মেয়র রুকুনুজ্জামানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, অর্থ আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ১ মে সকল কাউন্সিলর একযোগে মেয়রকে অনাস্থা দেন। একইদিন সন্ধ্যায় উপজেলা আ.লীগের সভায় দুর্নীতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পৌর আ.লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি এলাকা ছাড়া হলে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন সময় নানা বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেন তিনি। গত ৪ আগস্ট রাত ৮টায় মেয়র রোকন তার আইডি থেকে ফেসবুক লাইভে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে নিয়ে আপত্তিকর নানা বক্তব্য দেন। ঘটনার পরদিন ৫ আগস্ট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছামিউল হক বাদী হয়ে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সকল পরীক্ষা ও তদন্ত শেষে মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. জোয়াহের হোসেন খান। অপরাধ প্রমাণিত উল্লেখ করে পরবর্তী বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৫ আগস্ট এ চার্জশিট জিআর আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি আবু মো. ফজলুল করিম জানান, মেয়র রোকনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার চার্জশিট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত পরবর্তী বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।