রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের কৃষি প্রধান জনপদ মীরসরাই উপজেলার ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটার উৎসব। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন দেখে কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ১ হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদ করার লক্ষ্যমাত্রা হলেও আবাদ করা হয় ৭ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৫ হাজার ২শ’ মেট্টিকটন। উপজেলাব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা চাইতেও বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী। অতীতের মতো স্থানীয় জাত ও উন্নত জাতের ধান বীজ অনেকেই বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা চাষাবাদ করে থাকে।
ধান বীজগুলো কাজলআইল, চিনালধান, ভিন্নাতোয়া, ধলবাচাই, বৈলাম, আশ্বিনী, নাজিরআইল, বাধই, হলোই ধান, বাতুইধান, জিইস ধান, পাইজম ধান ইত্যাদি। সরকারি ধান বিএডিসি, বেসরকারি বীজ কোম্পানি মধ্যে সুপ্রিম সিড কোম্পানি, লালতীর, পাশাপাশি, মল্লিকা সিড, আলফা এগ্রো, ইউনাইটেট, এসিআই, অটো ক্রপকেয়ার এদের উল্লেখযোগ্য বি-৪৮, বি-২৮, বি-৪৩, বি-৭২নং ধানের বীজগুলো ভালো ফলন দিয়েছে। মূলত হাইব্রিড ধান বীজ যে কোনো মৌসুমে ভালো ফলন দিয়ে থাকে। আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলার কৃষক আউশ মৌসুমে স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করতো। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাছিল। চলিত মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় আউশ চাষে কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অধিদফতর।
এদিকে, উপজেলার ৯নং মীরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের (কৃষি বিষয়ক ক্লাব) আইপিএম ক্লাবের সভাপতি আউশ চাষি হানিফ ভূঁইয়া ও সজল দেবনাথ বলেন, আমাদের বাপ-দাদাদের আমল থেকে আমরা চাষের জমি থেকে ধান বীজ সংগ্রহ করে সাধারণ চাষাবাদ করতাম। এতে সমস্যা হলো বিভিন্ন ধরনে মিশ্রিত ধান হতো এবং ফসলও কম হতো। ফলে আধুনিক চাষাবাদের তাল মিলিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির উন্নতমানের হাইব্রিড ধান বীজ সংগ্রহ করে ভালো ফলন ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি।
১৩নং মায়ানী ইউনিয়নের ঘড়ি মার্কেট এলাকার কৃষক মো. জসিম জানান, সার, বীজ, কীটনাশক এর দাম বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ফসল যাই হোক না কেনো বিগত বছরগুলোতে কৃষক ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ সাহা বলেন, এ উপজেলার কৃষকরা পূর্বে স্থানীয় আউশ ধানের আবাদ করতো। এ বছর সরকার কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও বীজ, সার দিয়ে চাষিদের উৎসাহিত ও সহযোগিতা করেছে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে ব্যাপক চাষ করেছে এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। যার কারণে উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।