কুমিল্লার দেবিদ্বারে ভাবির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোহেল মিয়া (৩২) নামের এক যুবকের গলিত লাশ মঙ্গলবার দুপুরে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে দেবিদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। অবশ্য পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাতক ইবরাহিম মিয়ার স্ত্রী রুজিনা বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৩০ আগষ্ট দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ইবরাহিম মিয়া এবং সোহেল মিয়ার মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত সোহেল মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইবরাহিম মিয়া তার ভাইয়ের লাশ বস্তাবন্দি করে নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন। পরে বেশ কয়েকদিন যাবত তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভাগিনা মাইনুদ্দিন মামা সোহেল মিয়া কোথায় আছে অপর মামা ইবরাহীম মিয়ার কাছে জানতে চান? তখন সে উত্তরে জানায়, সোহেল মিয়াকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা কোন নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ইবরাহিম মিয়া কোন প্রকার উত্তর না দিয়ে আত্মগোপন করেন। আশ-পাশের লোকজন ইবরাহিম মিয়ার স্ত্রী রুজিনা বেগমকে চাপ দিলে নিজ ঘরেই সোহেল মিয়ার লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সোহেল মিয়ার গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। সোহেল মিয়া একাধিক বিয়ে করলেও বর্তমানে তার কোন স্ত্রী নেই। সোহেলের প্রথম স্ত্রীর সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। ঘাতক ইবরাহীম মিয়ার স্ত্রী রুজিনা বেগমের সাথে সোহেল মিয়ার পরকিয়া চলছিল। অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে ঘটনার দিন গত ৩০ আগষ্ট রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইবরাহীম মিয়া কোদালের বাট দিয়ে সোহেল মিয়ার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে নিজ ঘরের মেঝেতে গুম করে রাখা হয়।
দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নিহতের ভাই ঘাতক ইবরাহিম মিয়ার স্ত্রীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ভাই ইবরাহিম মিয়া পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী রুজিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত চলছে।