Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সরিষাবাড়ী পৌরসভায় বকেয়া বেতনের দাবিতে কার্যালয়ে তালা

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:৫৫ পিএম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন দু’টি মামলায় প্রায় চার মাস ধরে পলাতক। এদিকে বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা (সুইপার) রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে। পরে তারা মেয়র, সচিব ও হিসাবরক্ষকের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয়।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন ভাস্কর্য ভাঙচুর ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দু’টি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে ১৫ মে থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অজ্ঞাত স্থান থেকে তিনি কয়েকজন কর্মচারীর যোগসাজশে কয়েকটি বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর করলেও অধিকাংশ কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নকর্মীদের বেতন-ভাতা মাসের পর মাস বকেয়া পড়ে আছে। কাউন্সিলরদের সম্মানী বাকি প্রায় ১৯-২০ মাস ধরে। এতে পৌরসভার স্বাভাবিক কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় আরামনগর বাজার, শিমলা বাজার, বাউসি বাজারসহ অধিকাংশ এলাকায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। সাম্প্রতিক বন্যা ও বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাটগুলো চলার অযোগ্য হলেও কর্তৃপক্ষ কাউকে মেয়রের দায়িত্ব না দেওয়ায় এসব দেখার কেউ নেই। প্রায় প্রতিদিনই নাগরিকরা বিভিন্ন কাজে গিয়ে সেবা ও স্বাক্ষর না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরিচ্ছন্নকর্মীরা বেতন না পেয়ে রবিবার পৌরসভা ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা মেয়র, সচিব ও হিসাবরক্ষকের কক্ষে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
পরিচ্ছন্নকর্মীদের সর্দার সাজন বাসফোর জানান, ‘পৌরসভায় ২৯ জন পরিচ্ছন্নকর্মী রয়েছে। আমাদের সবারই তিনমাসের বেতন বকেয়া। মেয়র না আসায় আমরা বেতন পাচ্ছি না। এতে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা কোনো কাজে হাত দেবে না এবং পৌরসভার তালাও খুলে দেবে না বলে জোর দাবি জানান।
পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী জানান, ‘মেয়র দু’টি মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ কাগজপত্রে স্বাক্ষর দেওয়ার মতো কাউকে মেয়রের দায়িত্ব দেয়নি। ফলে নাগরিকরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন। অপরদিকে পরিচ্ছন্নকর্মীরা বেতনের দাবিতে পৌরসভা কার্যালয় তালাবদ্ধ করে দেওয়ায় অচলাবস্থা বিরাজ করছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘নাগরিক সেবা বঞ্চিত লোকদের সামনে প্রতিদিনই কাউন্সিলরদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’ মেয়রকে অপসারণ ও তদস্থলে ভারপ্রাপ্ত কাউকে দায়িত্ব দিয়ে জটিলতা কাটানোর দাবি তাদের।
এ ব্যাপারে পলাতক মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকনের বক্তব্য জানার জন্য মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
সরিষাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন খান জানান, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় মেয়র রোকনকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়েছে, তিনি পলাতক থাকায় সম্ভব হয়নি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ