পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার ফুটপাত ও সড়ক দখলমুক্ত করতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানকালে ফুটপাত ও সড়কে পাওয়া নির্মাণসামগ্রী ও অবৈধ স্থাপনা জব্দ করে তাৎক্ষণিক নিলামে তোলা হয়। এই অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
গতকাল গুলশানের একটি সড়কে ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখায় স্পট নিলামে সেগুলো বিক্রি করেছেন ডিএনসিসি মেয়র।
সকাল সোয়া নয়টার দিকে গুলশান-২ এর ৮৬ নং রোডে একটি ভ্রাম্যমাণ টিম নিয়ে হাজির হন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, ওই রোডে একটি নির্মাণাধীন ভবনের কাজের জন্য ফুটপাত দখল করে রড রাখা হয়। সেখানে উপস্থিত নির্মাণাধীন ভবনের তত্ত¡বধায়ক কাউকে না পেয়ে প্রথমে নিলামের ডাক দেন ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়া। নিলামে খবর শুনে সেখানে ছুটে আসেন সাইট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি। এ সময় তাকে কর্মকর্তারা ভৎর্সনা করেন। সেই সঙ্গে ফুটপাতে রড রাখার দায়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর ফুটপাতে থাকা রডসহ যাবতীয় মালামাল পরে স্পট নিলামে তুললে এতে পাঁচজন অংশ নেন। এর মধ্যে মাহমুদ মোল্লা নামে একজন সব রড ও রড কাটার মেশিন ৪৯ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। সঙ্গে ট্যাক্স ভ্যাট বাবদ আরও ৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেন তিনি।
এ সময় মেয়র আতিক উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করেছি। কেউ কথা কানে নেয়নি। সবাই নিজের মত করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। তাই এখন থেকে জরিমানার মাধ্যমে জবাব দেওয়া হবে সকল অনিয়মের। কাউকে কিন্তু ছাড় দেওয়া হবে না। এখনও যারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ প্লিজ ভালো হয়ে যান।
তিনি বলেন, আমাকে তো ৩২ লাখ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আমি তো এমন দুর্ভোগ সহ্য করবো না যা আমার নাগরিকদের ভোগায়। নাগরিকদের স্বার্থে এখন থেকে আমি কঠোরভাবে এসব মনিটরিং করব।
ডিএনসিসি এলাকার সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা সামগ্রী উচ্ছেদ ও নিলামে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে একযোগে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালিত হয়। মেয়র আতিকুল ইসলাম গুলশান ৮৬, ৮৭, ৬৭ নম্বর রোড এবং বনানী ১৫ নম্বর রোড পরিদর্শন করে ফুটপাত ও সড়কের ওপর রড, ইট ইত্যাদি দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে ডিএনসিসির মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ভবন নির্মাণকারীদের জরিমানা করা হয় এবং নির্মাণসামগ্রী তাৎক্ষণিক নিলামে বিক্রয় করা হয়।
সড়ক ও ফুটপাতে রাখা অবৈধ নির্মাণসামগ্রী ও অন্যান্য সামগ্রী উচ্ছেদে গতকাল ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে মোট ৩২টি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এসব নিলামের মাধ্যমে ১৩ লাখ আট হাজার ৫৯০ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া এক হাজার ২০০টি অবৈধ স্থাপনা, টং দোকান, শেড উচ্ছেদ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।