পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফ্রান্সের কুখ্যাত কার্টুনিষ্ট লরেন লিস কর্তৃক অঙ্কিত রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র ঐ দেশের চার্লি হেবদো পত্রিকায় প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাত বাংলাদেশের আমীর জৌনপুরী পীর সাহেব আল্লামা মুফতী ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দীকী।
গতকাল সোমবার বাদ যোহর নারায়নগঞ্জ পাঠানটুলীস্থ জৌনপুরী দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাতের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা ক্বারী সাইয়্যেদ মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী ও মাওলানা বরাতুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন তাহরিকে খাতমে নুবুয়্যাতের মহাসচীব মাওলানা আরিফুর রহমান।
সমাবেশে পীর সাহেব আরো বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অমুসলিম ও নাস্তিকরা হুজুর (সা.) আল্লাহ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে কটুক্তি ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন অব্যাহত ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ অন্যান্য ধর্মের বিষয়ে কটুক্তি করার কোন অধিকার ইসলাম মুসলমানদেরকে দেয়নি। এ কারনেই মুসলমানরা অন্য ধর্ম সম্পর্কে কোন কটুক্তি বা অববমাননা না করা সত্তে¡ও অমুসলিম এবং নাস্তিকরা আল্লাহ রাসুল (সা.) ও ইসলামের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে কটুক্তি অবমাননা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অবমাননা কটুক্তি ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন একজন মুসলমান কোন ভাবেই মেনে নিতে পারে না। এ বিষয়ে মুসলমানরা নিরব থাকলে ঈমান থাকবে না। তাই প্রতিটি মুসলমান ইমাম খতীব আলেম ওলামা সাধারণ মুসলমানদেরকে প্রতিবাদে সোচ্চার হতে হবে।
পীর সাহেব বলেন, এসব বিষয়ে সরকারের নিরবতার কারনেই অমুসলিম মুরতাদ ও নাস্তিকরা আসকারা পাচ্ছে। তিনি বলেন, ফ্রান্সের চার্লি হেবদো পত্রিকায় রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র পুন:প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ সরকারকে করতে হবে এবং সংসদেও নিন্দা প্রস্তাব ঈমান রক্ষার তাগিদে আনতে হবে। ফ্রান্স ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূতদ্বয়কে ডেকে এনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চাপ দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স ও সুইডেন সরকার এ বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে এদেশের ঈমানদার জনতা প্রয়োজনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পীর সাহেব সুইডেনে পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে দেয়া এবং অবমাননা করার প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ এবং ইমাম খতীবদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এসব বিষয়ে নিরব থাকলে মহান আল্লাহর দরবারে জবাবদিহির কোন সুযোগ থাকবে না।
পীর সাহেব তাহরিকে খতমে নুবুয়্যাতের দেশব্যাপী সকল সংগঠনকে নির্ধারিত দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।