রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফেনীর মহিপালে পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে সার্কিট হাউজ সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ওঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তা তলিয়ে যায়। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহিপাল সার্কিট হাউজ সড়কটি ভিআইপি সড়ক হিসেবে বেশ পরিচিত। সার্কিট হাউজের পাশে রয়েছে সৌন্দর্যের নিদর্শন ফেনীর ঐতিহ্যবাহী বিজয় সিংহ দিঘী। এটি ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য বড় একটি পর্যটন স্পট। এখানে প্রতিদিন শতশত দর্শণার্থী দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসেন। অথচ এই সড়কটিতে একটু বৃষ্টি হলেই পানির নিচে তলিয়ে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল ফ্লাইওভার থেকে সার্কিট হাউজ মসজিদ পর্যন্ত সড়কের কিছু অংশে কার্পেটিং ঠিক থাকলেও সার্কিট হাউজ মসজিদের সামনে থেকে দক্ষিণে লুদ্দারপাড় হয়ে পূর্ব বিজয় সিংহ মধুয়াই পোল পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে করে সড়কে প্রতিদিন গাড়ি চলাচল এবং জনসাধারণের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৩শ’ সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ১শ’ মটর চালিত রিকশা চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ মহিপালে আসেন। আবার মহিপাল হয়ে সুন্দরপুর, আফতাব বিবির হাট, কুঠিরহাট, তাকিয়া বাজার, সোনাগাজী ও দাগনভূঁঞা উপজেলায় যাওয়ার বেশ কিছু শাখা রাস্তা রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন।
সিএনজি চালক রফিক মিয়া, মজিবুর রহমান, আবদুর রহিম ও মিলন জানান, সড়ক দিয়ে প্রতিদিন তাদেরকে যাত্রী নিয়ে মহিপালে আসতে হয় এবং মহিপাল থেকে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। কিন্তু সড়কে এসব বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের ভেতর গাড়ি আটকে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। মাসে তাদের গাড়ি দুই থেকে তিনবার মেরামত করতে হয়। তারা আরও জানান, সীমিত পরিসরে যাত্রী নিয়ে কোনো রকম দুই চারবার যাতায়াত করতে হয় এই সড়ক দিয়ে। কিন্তু শান্তি নেই, গর্তে পড়ে গাড়ির কলকব্জা ভেঙে যায়। নাট ভল্টু ও স্টাডিং বিকল হয়ে যায়।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীরা জানান, এই সড়কটি পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে সার্কিট হাউজ বাংলো পর্যন্ত মেরামত করা হয় প্রতিবছর। কিন্ত মসজিদের সামনে থেকে দক্ষিণে এই সড়কটির বাকি দেড় কিলোমিটার অংশে পূর্ব বিজয় সিংহ মধুয়াই পোল পর্যন্ত বিগত ৮-৯ বছরেও মেরামত করা হয়নি। এমনিতে সড়কের বেহাল অবস্থা, আরেকদিকে বৃষ্টিতে সড়কে গর্তে পানি জমে কর্দমাযুক্ত হওয়ার কারণে গাড়ি চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ক্ষতবিক্ষত সড়কটি সংস্কারের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গেলে সড়কটি তাদের আন্ডারে নেই বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী ইনকিলাবকে জানান, এই সড়কটি ফেনী পৌরসভার আন্ডারে নেই। এই সড়কের কাজ এক এক সময় এক এক সংস্থা করে থাকেন। তবে জনসাধারণ ও গাড়ি চলাচলের সুবিধার্থে বেহাল সড়ক মেরামতের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহছান উদ্দিন ইনকিলাবকে জানান, গত কিছুদিন আগে ফেনী সার্কিট হাউজ সড়কটি পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে সার্কিট হাউজ বাংলো হয়ে নোয়াখালী সড়ক পর্যন্ত এই অংশটি সড়ক বিভাগের অর্ন্তভুক্ত হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।