পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের কারণে ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত এই ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়া সম্ভব না হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আগামী নভেম্বর মাসেও যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা না যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের এবার মূল্যায়ন ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে তুলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি স্কুল খোলা যায়, তাহলে আলাদা দুটি পরিকল্পনা করা আছে। যদি স্কুল খোলা যায়, তবে মূল্যায়নের বিষয়ে একটা ব্যবস্থা নিতে পারব। আর না হলে তো আপনারা বোঝেন। নভেম্বরেও স্কুল খোলা না গেলে এবার বার্ষিক পরীক্ষা হবে না। স্কুল না খোলা গেলে আমরা কী মূল্যায়ন করব?... স্কুল খোলা না গেলে কোনো মূল্যায়ন হবে না।
নভেম্বর মাসেও বিদ্যালয় খোলা না গেলে শিক্ষার্থীদের ‘অটোপাস’ দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, অটোপাসের খবর শুনে শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা থেকে সরে না যায়, সেজন্য এখনই কোনো ঘোষণা তারা দিচ্ছেন না।
কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলে ভর্তির নির্দেশ: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ে কোনো কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, অনেক কিন্ডারগার্টেন আছে আর্থিক কারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি সকল ডিপিওকে (জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা) যদি কেজি স্কুল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যে ক্যাচমেন্ট এলাকার, সেই এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে। কোনো স্টুডেন্ট বাদ যাবে না।
সচিব বলেন, প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের দায়িত্ব দিয়েছি কোভিডের পর যখন স্কুল খুলবে তার আগেই নিজেদের স্কুলের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করবে। সেই পরিকল্পনায় সবকিছু থাকবে, নিরাপত্তা, ঝরে পড়া। সঠিকভাবে সব মেইনটেন করতে পারলে আশা করি, আমাদের যে আশঙ্কা ঝরে পড়া, সেটা হয়তো অনেকটাই রোধ করতে পারব।
সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ: এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, গতবছর দেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৩ দমমিক ৯০ শতাংশ। এবার তা বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ হয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে জাকির বলেন, সরকারের ‘নিরলস প্রচেষ্টায়’ দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে এই পর্যায়ে এসেছে। ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় সাক্ষরতার হার ছিল ৫৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।
করোনাভাইরাস মাহামারী মধ্যে এবারের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘কোভিড-১৯ সঙ্কট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভ‚মিকা’।
গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানান, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়েছে। সাক্ষরতা বিস্তারে এই অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি স্বরূপ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা পুরস্কার লাভ করে।
এছাড়া মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরজ্ঞান দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জাকির। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আরও ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করার কার্যক্রম চলমান আছে।
দারিদ্র্য, অনগ্রসরতা, শিশুশ্রম, ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনও অনেক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে জানিয়ে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রকল্পের (পিইডিপি-৪) আওতায় ৮-১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বহির্ভ‚ত ১০ লাখ শিশুকে উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসময় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ ছাড়াও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।