পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। চালক, হেলপার ও যাত্রীকে মাস্ক, স্যানিটাইজারে হাত ধোঁয়া, সিট পরিস্কার করা, হ্যান্ড গ্লাভস ইত্যাদির কথা বলা হলেও ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মানছে না রাজধানীতে চলাচল করা বিভিন্ন রুটের গণপরিবহণ। ফলে বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে চালু হলো মোটরসাইকেলভিত্তিক বাইক রাইড শেয়ারিং সেবা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট থাকা সাপেক্ষে বাইকে শেয়ার করা যাবে রাইড।
রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য এনলিস্টমেন্ট নিবন্ধন থাকা এক হাজার ১৫৬টি বাইককে রাইড শেয়ার করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিকে গত ২৬ মার্চ রাজধানীতে চলাচলকারী গণপরিবহনের সঙ্গে সঙ্গে রাইড শেয়ারিং সেবাও বন্ধ করেছিল বিআরটিএ। বিগত ১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালু করলেও বন্ধ ছিল রাইড শেয়ারিং সেবার কার্যক্রম। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর সেবাটি পুনরায় চালু করার অনুমতি দিল সংস্থাটি।
বিআরটিএ-এর উপপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) বিমলেন্দু চাকমা স্বাক্ষরিত এক আদেশে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোকে সেবা চালুর অনুমতি দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার দেয়া আদেশে বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে যত সিট তত যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দেয়া হয়েছে গণপরিবহনগুলোকে। সেই হিসেবে মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট প্রাপ্ত মোটরসাইকেলগুলো রাইড শেয়ারিং সেবা দিতে পারবে। তবে শুধু ডিটিসিএ এলাকায় অর্থাৎ ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এই আদেশ অনুসারে, আগে থেকেই রাইড শেয়ারিং সেবার আওতায় থাকা সিলেট এবং চট্টগ্রামে এখনও সেবাটি বন্ধই থেকে গেলো।
আদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিস্তারিত নির্দেশনাও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, চালক ও যাত্রীকে মাস্ক, ফেস শিল্ড, হ্যান্ড গ্লাভস, নির্দিষ্ট মানদন্ডের হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। ট্রিপের শুরু ও শেষে হেলমেট, মোটরসাইকেলসহ যাত্রীর মালামাল স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের জন্য বিআরটিএর অন্য যেসব নির্দেশনা রয়েছে, মেনে চলতে হবে সেগুলোও।
আদেশে এনলিস্টমেন্ট সনদ পাওয়া এক হাজার ১৫৬টি বাইকের তালিকাও প্রকাশ করে বিআরটিএ। এগুলোর মধ্যে আকাশ টেকনোলজিস লিমিটেড ৯৩টি, আকিজ অনলাইন লিমিটেড ১০৮টি, চালডাল লিমিটেড ৯৭টি, সিএনএস লিমিটেড ৪৪টি, ইজিয়ার টেকনোলজিস লিমিটেড ৩টি, ওভাই সলিউশনস লিমিটেড ৯৪টি, পাঠাও লিমিটেড ১২৫টি, পিকমি লিমিটেড ৬৯টি, সেজেস্টা লিমিটেড ৯৫টি, সহজ লিমিটেড ৯২টি এবং উবার বাংলাদেশ লিমিটেড ৩৬৬টি বাইকের এনলিস্টমেন্ট নিবন্ধন পায়।
রাইড শেয়ারিং চালু করার অনুমতির সিদ্ধান্ত সাধুবাদ জানিয়েছে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো। দেশি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস বলেন, কোভিড সঙ্কটের শুরু থেকেই সমাজের সবার নিজ নিজ দায়িত্ববোধ থেকে একত্রিত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাগুলো অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু এখনো নিজেদের সুরক্ষা ও সমাজের সুরক্ষার জন্য সবারই কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যেহেতু এই কঠিন সময়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে শিখছি, আপনার নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পাঠাও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এদিকে রাইড শেয়ারিংয়ের সময় এনলিস্টমেন্ট সনদসহ মোটরবাইকে অন্য দলিলের মূল কপি সঙ্গে রাখার নির্দেশনাও দিয়েছে বিআরটিএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।