বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ স্টাফ রিপোর্টার : আলোচিত ৭ খুনের দুটি মামলায় পুলিশের ৫ সদস্যের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই ৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়।৭ খুনের ঘটনায় গ্রেফতার নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার পুলিশের এসআই আবদুর রাজ্জাক ও কানাই লাল চক্রবর্তী, এএসআই সাইদুল ইসলাম, এনায়েত হোসেন ও নুরুল আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছিল এসব পুলিশ সদস্য ওইসব সাক্ষীদের বাড়ি ও ঠিকানা নিশ্চিত করার তদন্ত কাজটি করেছিলেন। এখন পর্যন্ত ৭ খুনের দুই মামলায় মোট ১০০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ৭ খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে প্রায় এক বছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রয়ারি ৭ খুনের দুটি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন। আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনো ১২ জন পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।