পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রেখে জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দিতে হবে। গতকাল ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারকদের জন্য ভার্চুয়ালি আয়োজিত পঞ্চম ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৫ দিন মেয়াদী এ প্রশিক্ষণে জেলা জজ পদমর্যাদার ৩৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়াও বক্তৃতা করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন। বিচারকার্যে বিচারকগণ সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন। এটাও মনে রাখতে হবে যে, বিলম্বিত বিচার হলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। সেই আস্থা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে জন্য বিচারকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, জরুরি ও নির্ভরশীল একটি অঙ্গ। সেজন্য বিচার বিভাগের মর্যাদা বজায় রেখে ন্যায়বিচার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, চলতি বছরে অন্তত ৬ লাখ মামলা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে কিভাবে মামলাজট কমানো যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। তিনি বলেন, বছরের এখনো প্রায় চার মাস সময় আছে। এই সময়ে দেড় লাখ মামলাজট কমাতে পারলেও কিছু একটা অর্জন হয়েছে বলে মনে করতে পারবো। এ বিষয়ে তিনি বিচারকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে। করোনাভাইরাসের চ্যালেঞ্জ এসেছে। ভবিষ্যতেও আরো চ্যালেঞ্জ আসবে, আসতে পারে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রশিক্ষিত হতে হবে।
বিচার বিভাগে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য যে সক্ষমতা প্রয়োজন, যে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন সেটি সরকার করবে। সরকারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের কাছে তাদের সব সেবা পৌঁছে দেয়া। তাই জনগণের কাছে বিচার সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার তা সরকার করবে।
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বিচার বিভাগকে নতুন পথ দেখানোর আহবান জানিয়ে বিচারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আপনাদের কাছে সুষ্ঠু বিচার চায়। আপনারা তাদেরকে সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচার দিবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।