Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

ঘাটের উভয় পারে পারাপারের অপেক্ষায় প্রায় এক হাজার যানবাহন, চরম ভোগান্তিতে পরিবহন শ্রমিকরা

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:০৩ পিএম


কাঁঠালবাড়ি - শিমুলিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটি এর খননকৃত সকল চ্যানেল নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিগত ৪ দিন ধরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পন্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে থাকা পরিবহনের শ্রমিকরা। ফেরি বন্ধ থাকার কারনে উভয় ঘাটে সহ¯্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে ফেরি বন্ধ থাকায় কাঁঠালবাড়ীর ঘাট থেকে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে মোটরসাইকেলসহ যাত্রী পাড় করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই কাঁঠালবাড়ি - শিমুলিয়া নৌরুটের পদ্মা নদীতে তীব্র ¯্রােত ও নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে পানি কমায় নৌ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে জেগে উঠছে অসংখ্য ডুবোচর। ফলে আগেই বন্ধ হয়ে যায় বিকল্প চ্যানেল। দ্রুত পানি কমতে থাকায় চলমান একমাত্র লৌহজং টার্নিং চ্যানেলটিতে ওয়ান ওয়ে হয়ে পড়ে। শুধুমাত্র শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা কয়েকটি ছোট ফেরি দিনে চালু রাখা হলেও গত ৪দিন যাবত কোন ফেরি চলাচল করতে পারছে না। বন্ধ হয়ে যাওয়া চ্যানেল চালু করতে বিআইডব্লিউটি এর ড্রেজিং সরকারি ৯টি ড্রেজার দিয়ে দিন রাত করে বালু অপসারণ করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীরা।

কাঁঠালবাড়িঘাটে পন্যবাহী ট্রাক নিয়ে আটকে থাকা কয়েকজন শ্রমিকরা জানান, ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ট্রাক নিয়ে ঘাটে পড়ে আছি। রাস্তায় এতদিন ধরে খুব কষ্ট করে থাকছি। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
বাস চালক হাফিজুর মৃধা বলেন, প্রতি বছর বর্ষার শেষে পদ্মায় ডুবোচরের কারনে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। ড্রেজিংএর অনিয়মের কারনেই এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। আমরা ধারনা করছি সরকারের কোটি কোটি টাকা জলে যাচ্ছে। কোন কাজেই আসছে না। ঠিকমত ড্রেজিং করা হলে এমন হতো না।

কাঁঠালবাড়ি ঘাটের টার্মিনাল ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম বলেন, ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে এখনও প্রায় সাড়ে চারশত পন্যবাহী ট্রাক ঘাটে আটকে আছে। এছাড়া ছোটগাড়ি আছে দেড় শতাধিক।
বিআইডব্লিউটি এর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, সরকারি ৯টি ড্রেজার দিয়ে দিন রাত করে বালু অপসারণ করা হচ্ছে। মাননীয় নৌ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এ নৌ রুট পরিদর্শন করেছেন। বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান মহোদয় মাঝে মধ্যে আসছেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। আমরা সকলে মিলে এই নৌরুট চালুর ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ