Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রামগতি-কমলনগরে জলদস্যু ও দাদন ব্যবসায়ীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জেলেরা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১:০০ পিএম | আপডেট : ১:২০ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় জলদস্যু ও দাদন ব্যবসায়ীর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ জেলেরা
জলদস্যুর তাণ্ডবে অতিষ্ঠ দুই উপজেলার জেলেরা।রামগতি- কমলনগরে মেঘনানদীর পাড়ে সাহেবেরহাট,কালকিনি,চরমার্টিন,ফলকন,পাটারিরহাট,রামগতির আলেকজান্ডার, চরআলগী,চরবাদাম,বিবিরহাট রামগতি বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্পটে ইলিশ শিকার করতে হলে জলদস্যু বাহিনীকে নৌকাপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তাদের জাল, ট্রলার, নৌকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। নির্যাতন চালানো হয় জেলেদের ওপর।

রামগতি-কমলনগরে নদীভাঙন কবলিত পরিবারগুলোর বেশিরভাগের পেশা কৃষিকাজ ও নদীতে মাছ ধরা।মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন জেলেরা। তবে নদীতে জাল ফেলতে হলে জলদস্যু বাহিনীকে মাসোয়ারা দিতে হয় তাদের। মাসোয়ারা না দিলে জেলেদের অপহরণ, নদীপথে মালবাহী ট্রলার ও তীরের বসতবাড়িতে ডাকাতি, গোয়ালের গরু-মহিষ লুট করে নেওয়া হয়। এসব ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলের গরু-মহিষ চুরি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। স্থানীয় জেলেদের অভিযোগ,রাজনৈতিক দলের কথিত নেতার ছত্রছায়ায় জলদস্যুরা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মদদপুষ্ট কয়েকজন প্রভাবশালী জেলেদের চড়া সুদে দাদন নিতে বাধ্য করেন। দাদন না নিলে ট্রলার দেওয়া হয় না তাদের। প্রতি মৌসুমে নদীতে মাছ ধরার জন্য জেলেদের নৌকার প্রকার ভেদে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হয় এসব বাহিনীকে। টাকা দেওয়া জেলে নৌকাগুলো লাল সালু টানিয়ে নির্বিঘ্নে নদীতে মাছ শিকারের নিশ্চয়তা পায়। যে নৌকায় লাল সালু টানানো থাকে না সেই নৌকার জেলেদের ওপর নেমে আসে জলদস্যু বাহিনীর অমানবিক নির্যাতন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,রামগতি-কমলনগর উপজেলা মেঘনানদীর তীরে প্রচুর পরিমানে মাছের আড়ত রয়েছে।আড়ৎদাররা হতদরিদ্র জেলেদের দাদন দিয়ে জিম্মি করে রেখেছেন। ক্ষমতাসীন দলের কথিত কয়েকজন নেতা এই সব জলদস্যু বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা করছেন।

এ বিষয়ে রামগতি থানার (ওসি) মোঃ সোলাইমান বলেন, নদীপথে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ