বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
ক্ষমতাসীন সরকার সার্বিকভাবে দেশ পরিচালনায় ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার হরণ করে অনৈতিক শাসন দীর্ঘায়িত করতে দুর্নীতি, লুটপাটকে প্রশ্রয় দিয়ে সুবিধাভোগী সৃস্টি করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুব-ছাত্র লীগ দুর্নীতি, লুটপাট, এমনকি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ , মাদক, চাঁদাবাজিতে জর্জরিত। এমন কোনো অপকর্ম নাই, যাতে তারা জড়িত নয়। সরকারের চরম ব্যর্থতায় জনগণের জান-মাল নিরাপত্তা নাই। যে সরকার সুরক্ষিত বাসভবনে তার সরকারি কর্মকর্তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সে সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কতটা শোচনীয় তা সহজেই বোধগম্য।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহে করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বিএনপির এই নেতা ময়মনসিংহ মহানগরের ৭নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে এবং ওয়ার্ডভিত্তিক ত্রাণ বিতরণের জন্য ওয়ার্ড নেতাদের হাতে তুলে দেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, করোনা ও বন্যায় জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ত্রাণ লুটপাট করে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে লীগ গোষ্ঠী আজ নিয়ন্ত্রণহীন, বেপরোয়া। জনগণের ক্ষোভ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য সরকার বিরোধী রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে আইনের শাসনকে আওয়ামী শাসনে পরিণত করেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে আটক রেখে বিরোধী রাজনীতিকে নস্যাৎ করতে চায়। এতেও সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়- দলীয় সন্ত্রাস ও ভোট জালিয়াতি করা সরকারের ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়তে বেশী দেরী নাই। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বত্র সুসংগঠিত এবং জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে জনগণের বিজয় ছিনিয়ে আনার বিকল্প নাই।
ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপি নেতা আমজাদ আলী, কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহমেদ ভুলু, ফারজানা রহমান হোসনা, এডভোকেট আবদুল হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, শামিম আজাদ, মাহবুবুল আলম, রতন আকন্দ, সৈয়দুজ্জামান জিন্নাহ, এড.মাসুদ তানভীর তান্না, মাহবুব হোসেন পাপন, সুলতান উদ্দিন আহমেদ, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজ্জামেল হক টুটু, সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদ হোসেন শাকিল, ছাত্রদল সভাপতি নাইমুল করিম লুইন, সাধারণ সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম রবিন, শ্রমিক দল সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলাল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি আমিনুল ইসলাম ফয়সাল, মহিলা দল সভানেত্রী খালেদা আতিক, সাধারণ সম্পাদিকা আতিয়ার ফাইরোজ মলি, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ ফয়েজ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।