বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে এই মুহূর্তে বিদেশ পাঠানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তার চিকিৎসা সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের মাথায় লোহার আঘাতের কারণে অপারেশন-পরবর্তী ইনফেকশনের ঝুঁকি রয়েছে। সেই ঝুঁকি বিবেচনায় সতর্ক রয়েছে চিকিৎসকরা।
তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের স্বাস্থ্যগত উন্নতি ঘটছে তবে সতর্কতার সঙ্গে তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান নিউরো সার্জন ও গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন বলেন, সফলভাবে ওয়াহিদা খানমের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে তবে রয়েছে সংক্রমণের ঝুঁকি সেজন্য নিয়োজিত বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে অবজারভেশনে রেখেছেন।
আগামীকাল রাতে তার অপারেশনের ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হবে। পরশুদিন সকালে তার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে তাকে আইসিইউতে রেখে অবজারভেশনে থাকবেন নাকি বেডে স্থানান্তর করা হবে। এটা বলতে পারি যে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, তার মাথার বাঁ দিকটা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডানপাশের কিছু অংশ প্যারালাইজড অবস্থায় আছে। তবে তিনি তার স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছেন। পরিচিতদের তিনি চিনতে পারছেন।
এর আগে গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। তার মাথা রক্তাক্ত করে। এ সময় চিৎকারে তার বাবা পাশের রুম থেকে ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদাকে সরকারি বাসায় এভাকে আক্রমন করার ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার তদন্তে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেন। র্যাবসহ আইন শৃংখলা বাহিনী দুর্বত্তদের ধরতে অভিযান চালায়। তারা সফলও হয়।
ইউএনও’র বাসভবনে প্রবেশ করে হামলার ঘটনা প্রশাসনের বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ইউএনও উপজেলা পরিষদের প্রধান সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে এ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। এরই মধ্যে সরকার রংপুর বিভাগের ৮ জেলার ৫৮ ইউএনও’র নিরাপত্তায় সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কার্যালয় ও বাসভবন মিলিয়ে ১০জন আনসার সদস্য নিরাপত্তা দেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।