রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এখন বর্ষাকাল। বর্ষার পানিতে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিভিন্ন খাল-বিল, হাওর, নদী-নালায় চড়ে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে পোনা মাছ। কিছুদিনের মধ্যেই মাছগুলো বড় হবে। কিন্তু মাছ শিকরিরা বুঝে কিংবা না বুঝে ব্যাপক হারে পোনামাছসহ সব ধরনের মাছ শিকার করছে।
বিশেষ করে কারেন্ট জাল ও ভেল জাল দিয়ে সব ধরণের পোনা মাছ ধুয়ে-মুছে শিকার হচ্ছে। কিন্তু এসব মাছ শিকার না করে ৬ মাষ অপেক্ষা করলে জলাশয়গুলোতে মাছে সয়লাব হয়ে যাবে। উপজেলা মৎস অফিস থাকলেও এর কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছেনা। সরকারিভাবে যেসব পোনামাছ জলাশয়ে ফেলা হয় সেগুলোও মাছ ফেলে আসার সাথে সাথেই ধরা পড়ে যায়। উপজেলার দ্যেলতপুর ইউনিয়নের চাউলধনী হাওর নামে খ্যাত বড়বিলসহ অংখ্য মিটা পানির মাছের করদ যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশেও রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন পোনামাছ ধরার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে মাছের উৎপাদন ৪গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাছ নিধনের ফলে মিটা পানির অনেক মাছ বিলুপ্তির পথে।
বিশ^নাথের হাট বাজারে এখন আর আগের মত বড় মাছ পাওয়া যায়না। বর্তমান সময়ে পোনা মাছে বাজার সয়লাব দেখা য়ায়। দৈনিক মুজুরিতে যারা কাঝ করতেন তারা এখন মাছ ধরায় জড়িত। নির্দিষ্ট পেশার মানুষ ছাড়াও সব পেশার দরিদ্র মানুষ মাছ ব্যবসায় জড়িত। মৎস্য আইনে এসময় মাছ শিকার নিষিদ্ধ হলেও মানছেন না কোন জেলেরা এবং পোনা মাছ ধরা যে বেআইনি তাও তারা জানেন না। দেশীয় মাছ বিলুপ্তির কারণে জেনে শুনে বাজার থেকে নানা ধরণের চাষের মাছ খাচ্ছি, যে মাছে পুষ্টির চেয়ে অপুষ্টি বেশি, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। তবে আমাদের সচেতনতার অভাবে সুস্বাদু দেশীয় মাছ আমাদের নাগালের বাইরে। স্থানীয় মৎস্য অফিস কোন রকম সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন না থাকায় মৎসজীবীরা বুঝতেও চায় না এখন এই পোনামাছ শিকার করলে জেলেরাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাই জেলেরদের মৎস নিধন রোধে উপজেলা প্রশাসনের ক্যাম্পেইনের ব্যবস্থা অতিব জরুরি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া জানান, পোনা মাছ নিধনে ২টি বিষয় জড়িত, একটি হল বিবেক অপরটি হল আইন। যারা বিবেকবান আছেন তারা অবশ্যই পোনামাছ ধরবেন না। বাকিটা আইনের আলোকে প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বিশ্বনাথ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, ৯ ইঞ্চির নিচে থাকা কাতলা, রুই, মৃগেল, কালবাউশ, ঘনিয়াসহ দেশি প্রজাতির মাছ নিধন করতে পারবে না। যদি কেউ করে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।