Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারায়ণগঞ্জে ৯০ কোটি টাকার নকল প্রসাধনী ও টেলিভিশন জব্দ, মালিক সহ আটক ৭

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:০৯ পিএম

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইলে মুনস্টার মার্কেটিং প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি কারাখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমান নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জব্দ করেছে র‌্যাবের ভ্রম্যামান আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা বিভাগ ও বিএসটিআয়ের সহযোগিতায় র‌্যাবের নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট পলাশ কুমার বসুর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। এরআগে গত বছর রাতের বেলা নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় আলোচিত এসপি হারুন এই কারখানায় অভিযান চালিয়েছিল। এরপর এই প্রতিষ্ঠানের মালিক গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে তার কারখানার পক্ষে বৈধতা তুলে ধরেছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতের অভিযানে কারখানার ভেতরে মিথানল ও স্পিরিটসহ মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যামিকেল মিশিয়ে প্রস্ততুকৃত বিপুল পরিমান ফগ, সিগনেচার, হোভোগল্ড, কার্টন লিমা, ব্লুলেডি, জ্যাসমিন, গেমবটি, মিলিনিয়াম, কোবরা, ম্যাক্স, রয়েলমেরগিসহ বিশ্বের বহুল সমাদৃত নামিদামি ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী সামগ্রী এবং সনি ব্রাবারিয়া, প্যানাসনিক ও এলজি ব্র্যান্ডের টেলিভিশন জব্দ করা হয়। যার মূল্য হবে প্রায় নব্বই কোটি টাকা। একই সামগ্রী দিয়ে এসব নামিদামি ইলেকট্রনিক্স পন্য তৈরি করে দেশের বাজারে বিক্রি করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এসব নকল প্রসাধনী উৎপাদন ও বিপননের সাথে জড়িত কারখানার মালিক বেলায়েত হোসেনসহ কারাখানার মোট ৭ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আটক করেছে র‌্যাব।
র‌্যাবের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, মুনস্ট্যার মার্কেটি প্রাইভেট লিমিটেড কারাখানার মালিক বেলায়েত হোসেন র্দীঘদিন ধরে এই কারখানার ভেতরে বিশ্বের বিভিন্ন নামিদামি ব্যান্ডের প্রসাধনী সামগ্রী ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উৎপাদন করে দেশের বাজারে বিক্রি করে আসছেন। যা মানুষের সাথে প্রতারণার শামিল। ২০১৭ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ক্যামিকেল দিয়ে একটি মাত্র মেশিন দিয়ে কোবরা, ফগ, বুলেডি, সিগনেচার, হোভোগল্ডসহ বিভিন্ন দেশের নামিদামি কোম্পানীর লেভেল সাঁটিয়ে ছোট ছোট কন্টেইনার রিফিল করে বাজারজাত করে আসছে। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চকবাজারসহ দেশের বিভিন্ন ছোট বড় শপিংমলের প্রসাধনীর দোকানে এসব নকলপন্য সরবরাহ করে মানুুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহার করে মানুষ স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়ছেন। মিথানল ব্যবহার করতে হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লাইসেন্স এবং পরিবেশ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভ্রম্যামান আদালতকে কোন কিছুই দেখাতে পারেনি।
র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, কারখানার ভেতরে ও গোডাউনে প্রায় ৯০ কোটি টাকার বেশী নকল প্রসাধনী ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। এসব নকলপন্য যাতে দেশের বাজারে সরবরাহ করতে না পারে এজন্য কারখানার সিলিগাল করে দেয়া হয়েছে। এবং কারখানার মালিকসহ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ৭৪ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও প্রতারনার অভিযোগ নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
তবে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের দাবি তার সকল প্রকার কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু ভ্রম্যামান আদালতের লোকজন কিছ্ই দেখছেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ