পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিএনপির রাজনীতিকে নতুন করে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কন্ডিশনাল গৃহবন্দী। তিনি যেদিন জনগণের সামনে বক্তব্য রাখবেন, সেদিনই তিনি মুক্ত হবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরে জনগণের মধ্যে কথা বলবেন, সেদিন তিনি মুক্ত হবেন। ফলে, আজকে বিএনপিকে তাদের মুক্তির পথে কী কী বাধা আছে, কী ব্যারিকেড আছে, সেগুলো চিন্তা করে বিএনপিকে রাজনীতি সাজাতে হবে। বিশ্ব রাজনীতি এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। এগুলো এড্রেস করে আমাদের আগাতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৩তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমরা গণতন্ত্র রক্ষা করতে গেলাম। যেই ফোর্সগুলো আমাদের সময়ে ইমার্জেন্সি এনেছিলো, সেই ফোর্সগুলোই তো..। এখন এসব জায়েজ, আমাদের সময়ে জায়েজ ছিল না। কারণটা হচ্ছে, আমাদের দল ন্যাশনালিস্ট পার্টি, জিয়াউর রহমান জাতীয় স্বার্থরক্ষায় একটি দল তৈরি করেছিলেন, বেগম জিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং তারেক রহমান ২০০১ সালে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি একজন গেম চেঞ্জার। এ কারণেই বিএনপির নেতৃত্ব উপর নির্যাতন চলছে। এই নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিএনপিকে ধ্বং করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০০৬ সালে নির্বাচনের প্রসঙ্গ বিএনপির এই নেতা বলেন, এই বাংলাদেশেও আমাদের সময়ে আমরা এনক্লুসিভ নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অপজিশন করতে দেয়নি। কত কিছু হলো, জাতিসংঘের চিঠি এলো, এরপর একটা বিশেষ সরকার আসলো, তারা তাদের মতো থাকলো, এরপর তারা তাদের তল্পিবাহক লোককে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে গেলো।
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচন করলো, কোনও ইমার্জেন্সিও হলো না, কিছুই হলো না। যে র্যাব, পুলিশ আমাদের হত্যা করছে গুম করছে, তাদের বিরুদ্ধে তো ইউএন কিছু বলে না। ঠিক যেমন সিরিয়াতে হচ্ছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া-ভীতি ও তারেক রহমান-ভীতি কুঁড়েকুঁড়ে খায় সরকারকে।
ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাাখেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এডভোকেট শামসর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল খালেক, আমীরুল ইসলাম খান আলীম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, সাজিদ হাসান বাবু, আমিনুর রহমান আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।