পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার খবর নিতে তার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথেও কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ওয়াহিদা খানমের সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছি। এখন তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে তার প্রেশারটা আপ-ডাউন করছে। যদিও সাক্ষাৎকারে তার প্রেশার ৮০/১২০ এর মধ্যে ছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাসার সামনের সিসিটিভি ফুটেজে হালকা গড়নের কম বয়সী দুজনকে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে তাদের চেহারা অস্পষ্ট, চেনা যাচ্ছে না। তারা ইউএনওকে হাতুড়ি জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় পুলিশ সুপার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। আশা করছি, দ্রæত হামলাকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। ক্লু পেতে কাজ করছেন তারা।
তিনি বলেন, চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমের সেন্স আছে এবং স্পষ্ট কথা বলতে পারছেন। তিনি হামলাকারী কাউকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন। তার ভাষ্যমতে কারও সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রæতা ছিল না। এখন পর্যন্ত হামলার কারণটি অস্পষ্ট। তদন্ত চলছে, হামলাকারীদের বের করার চেষ্টা চলছে।
ইউএনওদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনওদের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউএনওদের বাসভবনে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আনসার সদস্য মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে।
ইউএনওর শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যগত অনেক প্যারামিটার ইমপরুভ করলেও ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে আউট অব ডেঞ্জার বলা যাচ্ছে না। কারণ নিউরো রোগীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি সব কিছু বলা যায় না। তাকে আপাতত বিদেশ নেয়ার পরিকল্পনা নেই। তবে প্রয়োজন হলে আমরা সবটাই করব। তবে আমাদের রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা বিশ্বমানের। এখানে বøাডের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রয়োজনে সিনিয়র নিউরো চিকিৎসকদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।