পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতেই প্রতিনিয়ত কালা কানুন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘জাতীয় অনাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০২০’ দেশের গণমাধ্যম কন্ঠরোধের আরেকটি কালাকানুন মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত এই গণবিরোধী সরকার এমন এমন আইন করছে যাতে কোনোভাবে যেন বিরোধী কন্ঠ বাতাসের মধ্যে ভেসে না যায়। সেজন্য কালা কানুন করছে।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ঢাকা কলেজ ছাত্রদল পরিবারের উদ্যোগে মরহুম নেতা আবদুল আউয়াল খান ও শফিউল বারী বাবুর স্মরণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, টেলিভিশন থাকবে কিন্তু তার যদি অনলাইন ভার্সন বা নিউজ পোর্টাল থাকে তাহলে তার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটা একটা কন্ঠরোধ। পত্রিকাগুলোরও তাই। পত্রিকাগুলোতে যেসব খবর ছাপা হচ্ছে, তার অনলাইন ভার্সনে ভিন্ন কথা থাকলে পরে তার জন্যও আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরকম কালা কানুনের বন্ধনের মধ্যে শুধু আটকিয়ে রাখো, শুধু আটকাও, নিয়ন্ত্রণ করো, যত পারো নিয়ন্ত্রণ করো। তারই একটি দৃষ্টান্ত হলো জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিধি-নিষেধের বেড়াজালের মধ্যে, বেড়াজালের মধ্যে আটকাতে আটকাতে তারা (সরকার) একেবারে বাকশালের যে চূড়ান্ত রূপ -একদল, এক দেশ, এক নেতা যেটা করেছিলো ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। শেখ হাসিনার পিতার একদলীয় নীতির সেই এক দল, এক নেতা, এক দেশ ও একটি পত্রিকা সেই ধারাতে তিনি চলে আসছেন। চূড়ান্ত চেহারায় আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি এই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে। কারণ এরা হলো চেতনা সন্ত্রাস, এরা হলো ভোট সন্ত্রাস, এরা হলো লুটেরা সন্ত্রাস। এখন আরেকটা সন্ত্রাস যুক্ত হয়েছে পাঁচার সন্ত্রাস। মানব পাচার আর টাকা পাচার। এই যে এতোগুলো সন্ত্রাস তারা তাদের অঙ্গে ভূষণ হিসেবে নিয়েছেন। এটা ঢাকা দেয়ার জন্য গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো বিকল্প নেই। এই নীতি নিয়ে আজকে শেখ হাসিনা দেশ চালাচ্ছেন। তিনি মনে করছেন এভাবে টিকে থাকা যায়।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বিএনপির এই নেতা বলেণ, এই অবস্থার পরিবর্তনে আমাদের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের দিকে ধাবিত হতে হবে। আমাদের সামনে এক পবর্তসঙ্কুল পথ অতিক্রমের যে প্রস্তুতি থাকা দরকার আজকে এই তরুণরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সজিব।
দোয়া মাহফিলে বিএনপির আসাদুল করিম শাহিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাদরেজ জামান, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহম্মেদ, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন, গোলাম সারোয়ার শামীম, এসএইচ জাবেদ, চৌধুরী হাসান জামান মিন্টু প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।