পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যত সিট তত যাত্রী এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক নির্দেশনার মধ্যে আগের ভাড়া কার্যকরের ভিত্তিতে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ ওঠেছে। যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন চালক ও কর্মীদের নেই ভালো ব্যবহার, ভাড়া দাবি করা হচ্ছে ইচ্ছেমতো। গতকাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সব আসন পূর্ণ করে চলছে গণপরিবহন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে ব্যাপক ঘাটতি। কিছু যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ গণপরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নেই।
গতকাল মহানগরীর যাত্রাবাড়ি মোড়ে দেখা গেছে, অফিসগামী মানুষের প্রচন্ড ভিড়। বাসের সংখ্যাও বেশি। কিন্তু খুব একটা মানুষকে বাসে উঠতে দেখা যায়নি। তারা বলছেন, করোনাকালে গণপরিবহন তাদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে পারেনি। কোথাও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার বা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। তাছাড়া প্রতি আসনে যাত্রী পরিবহন করলে সামাজিক দূরত্বও নিশ্চিত হয় না। ভাড়া নিয়েও প্রতিসময় হেল্পারদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা করতে হয়। জানতে চাইলে তারা জানান, যাত্রী তোলা হয়েছে প্রতিটি সিটে। অথচ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
ধনিয়ার বাসিন্দা মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, বাধ্য হয়েই বাসে যাতায়াত করতে হয়। অথচ ভাড়া বেশি নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। তুহিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, যেভাবে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে, তা আমি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করি। তাই রিকশা বা সিএনজি করেই যাতায়াত করছি।
বাংলামোটর এলাকায় দেখা গেছে, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাই বেশি। সড়কে চলাচলরত অধিকাংশ বাসের আসন ফাঁকা। কথা হয় মিরপুর থেকে শিকড় পরিবহনে করে আসা যাত্রী মো. মামুনের সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করেন, পরিবহন কর্মীদের ব্যবহার ভালো না। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে এখানে আসতে ভাড়া নিয়ে অন্তত ১৫ জন যাত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেছে কন্ডাক্টর।
আশরাফ উদ্দিন চুন্নু নামে অপর এক যাত্রী বলেন, বাসের প্রতি মানুষে আস্থা নেই। করোনাকালে যেসব নিয়ম মানার কথা ছিল, তার ধারে কাছেও তারা নেই।
জানতে চাইলে বিআরটিএ’র উপপরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিদিন ১০-১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপ‚র্ণ এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। জেল-জরিমানার পাশাপাশি তারা যানবাহনের কাগজপত্রও জব্দ করছেন।
তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি, যাতে কোথাও অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।