বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
আওয়ামী লীগ পুতুল সরকার হিসেবে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা (আওয়ামী লীগ সরকার) আধিপাত্যবাদের পুতুল সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা শুধুমাত্র তাদেরই এজেন্ডা এখানে বাস্তবায়িত করছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করা-এটাই হবে আমাদের উদ্দেশ্য-লক্ষ্য।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আলোচনায় যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় খালেদা জিয়া অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী একজন ক্যারিজমেটিক লিডার। তিনি তো ছিলেন হ্যামিলনের বংশীবাধক। লন্ডন থেকে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিজিট করতে কক্সবাজারে গেলেন পথে পথে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাওয়ার সময়ে এবং ফেরার সময়েও।
তারা আমাদের নেত্রীকে নতুন করে উজ্জীবিত করেছে যে মানুষ তার সঙ্গে আছে, এখনো আছে। আমার বিশ্বাস এই মানুষগুলোকে সংগঠিত করে আমরা যদি রাজপথে নামতে পারি, আমরা যদি জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে এই গণতন্ত্র বিরোধী সরাতে পারব।
বিএনপি বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপোগান্ড শুরু হলো। আমাদের দেশে ২/৩টা প্রখ্যাত পত্রিকা তারা একই সুরে কথা বলতে শুরু করলো। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করলাম যে, বেশ কয়েকটি দেশের ডিমপ্লোমেটরা টুইজডে ক্লাব বলে একটি ক্লাব তৈরি করলো। সেই ক্লাবে আবার একটা আন্দোলন শুরু হলো মিলিতভাবে যে যোগ্য প্রার্থীর.. । সবই একই সূত্রে গাঁথা ছিলো যে, বিএনপি যেহেতু বাংলাদেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে, স্বাধীন সার্বভৌম স্বতন্ত্র অবস্থানে আছে। এই সরকার যদি থাকে এদের প্রতিনিধিরা যদি সংসদে আসে তাহলে তাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ এখানে বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে না।
তারই ফলোশ্রুতিতে আমরা দেখেছি, তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন নাটক তৈরি করেছে, ১/১১‘র সেনা সমর্থিত সরকার তৈরি হয়েছে, তার পরে দুই বছর সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে সরকার ছিল। তারা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে যেটি ছিলো ষড়যন্ত্রমূলক। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একবারের জন্যও মাথা নুয়াননি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,‘‘ ১/১১ ‘র সরকার দেশে বিরাজনীতিকরণের জন্য এসেছিলো। দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা ও মাইনাস টুয়ের নামে মাইনাস ওয়ান অর্থাত বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করাই তাদের উদ্দেশ্য। আজকে যারা ক্ষমতায় তারা সেই ধারাবাহিকতার সরকার। মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার যেমনিভাবে গায়ের জোরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় ছিলো, আজকের সরকারও গায়ের জোরে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে এবং একই কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের অধিকার হরণ করছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করছে এবং দেশকে একটা অন্ধকার গহবরে ফেলে দিয়েছে। এর ধরাবাহিকতায় দেশনেত্রীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ, একই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে বিদেশে অবস্থান করছে, সেই ষড়যন্ত্রের বিএনপির নেতা-কর্মী কেউ নেই যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই। এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে দলকে সংগঠিত করে রাজপথে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এই সরকারের ভিত্তি হচ্ছে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে। সেই সরকারের একই ধারাবাহিকতায় আজকে এই সরকার চলছে।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।