পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চারলেনে উন্নয়নসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ২ হাজার ৭১ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৪ হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একনেকের বাকি সদস্যরা ছিলেন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে এম এ মান্নান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জীব বৈচিত্র ঠিক রাখতে সড়কের প্রকল্পে বেশি বেশি কালভার্ট রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে সব কালভার্ট বিদ্যমান রয়েছে সেগুলোর বাইরেও আরও কালভার্ট রাখতে হবে। যাতে করে বেশি পরিমাণে পানি চলাচল করতে পারে। এছাড়া বেশি করে গাছ লাগানোর কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের উপরও গুরুত্বরোপ করেছেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল আন্ত:জেলা মহাসড়ক এবং সব মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। এর অংশ হিসাবেই সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটি চারলেন করা হচ্ছে। তাছাড়া খাদ্য সংরক্ষণাগার তৈরির মাধ্যমে উপক‚লীয় অঞ্চলে প্লাস্টিকের মটকা কিনে দেয়া হবে। যাতে প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় খাদ্য শস্য নষ্ট না হয। এছাড়া বড় বড় ৮টি সাইলো তৈরি করা হবে। নানা কারণে প্রকল্পরি মেয়াদ ও ব্যয় বেড়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উন্নয়নসহযোগীদের ঋণ পেতে অনেক ক্ষেত্রেই দেরি হয়ে যায়। যদিও এ বিষয়টি খুব বেশি আলোচনায় আসে না। তাছাড়া রেট সিডিউল পরিবর্তনসহ আরও নানা কারণ রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হাওর এলাকার জন্য শেখ হাসিনা উড়াল সড়ক নামে একটি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি দেশের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে। কেননা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতে হাওর অঞ্চলের অবদান অনেক বেড়ে যাবে। এ প্রকল্পে পর্যটকদের জন্য আবাসিক হোটেল এবং পিকনিক স্পর্ট তৈরির প্রস্তাব যোগ হতে পারে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, মতলব-মেঘনা-ধনাগোদা-বেড়ীবাঁধ সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ, ব্যয় হবে ৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। সারাদেশে পুকুর খাল উন্নয়ন, ব্যয় ৪২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ, ব্যয় ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ব্যয় ৭৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সভায় অংশগ্রহণ করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম প্রমুখ।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।