প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পরপর দু'দিনে ১৭ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের সোমবার রিয়া চক্রবর্তীকে তলব করেছে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। কেননা রিয়ার দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি।
মূলত সিবিআইয়ের বেশিরভাগ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিচ্ছেন না রিয়া চক্রবর্তী। তদন্তকারী সংস্থা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে, কেনো তিনি সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না? যখন জানতেন সুশান্ত মানসিক অবসাদের ঔষধ খাচ্ছেন, তখন কেন তাকে উত্তেজিত করে ছেড়ে চলে গেলেন? এমনকি যখন গেলেন তখন ঔষধের দায়িত্ব আপনি কাকে দিয়ে গিয়েছিলেন? এমন নানা প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি রিয়া।
জানা গিয়েছে, সুশান্তের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে রিয়া সত্য না মিথ্যা বলছেন সেটা জানার জন্য রিয়া ও তার ভাই শৌভিকের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই। তাদের দু'জনকে আর দু'দিন জিজ্ঞেস করতে চায় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরেই নাকি পলিগ্রাফ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (৩০ আগসট) সিবিআই দপ্তরে রিয়া ও তার ভাই শৌভিকের পাশাপাশি সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি, অভিনেতার প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরিন্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। এসময় নাকি রিয়ার জবাবে অসঙ্গতি পেয়ে তাকে থাপ্পড়ও মেড়েছেন এক মহিলা আইপিএস অফিসার।
এরই মধ্যে সুশান্তের মৃত্যু মামলায় 'ডার্কনেট'-এর তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে নারোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) বলছে, রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে সিবিডি অয়েল, গাঁজা, হ্যাশের মতো মাদকের সত্যতা পেয়েছে। তাদের মতে, নিষিদ্ধ এই মাদকদ্রব্যগুলো ডার্কনেটের মাধ্যমে আনা হতো। ওয়েবসাইটে ফেক প্রোফাইল তৈরী করে তারা এসব করতেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত সিং রাজপুত। যদিও আত্মহত্যার এই তত্ত্বটি মানতে নারাজ অভিনেতার ভক্তরা। তবে ঠিক কেন, কি কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।