পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ পবিত্র আশুরা। এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে এই দিনে ফোরাত নদীর তীরে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে শাহাদতের অমিয় সুধা পান করেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হজরত হোসাইন (রা.)। কারবালার এই শোকাবহ ঘটনার কারণে ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশে আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় ও কর্মসূচিতে পবিত্র আশুরা পালন করা হচ্ছে। অনেক নফল রোজা ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছে। পবিত্র এই দিনটি উপলক্ষে কারবালার শোকাবহ ঘটনাকে স্বরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে নেটিজেনরা।
বেলাল হোসাইন লিখেন, ‘ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হোক আজকের দিন। পবিত্র আশুরা হোক আত্মত্যাগ, সৌহার্দ্য আর ন্যায় প্রতিষ্ঠার নিয়ামক। আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফীক দিন। আমিন ।’
হাফিজুর রহমান লিখেন, ‘হে আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদ সকলকে আপনি হেফাজত করুন। সকলকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। সকলকে সহি শুদ্ধ দ্বিন বুঝে আমল করার তৌফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।’
ঐতিহাসিক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে জিল্লুর রহমান লিখেন, ‘এ মহররম মাসেই মহান আল্লাহ তাআলা এ পৃথিবী সৃষ্টি করেন। এ মাসে পৃথিবীর প্রথম মানব-মানবী হজরত আদম ও হাওয়া (আঃ) শয়তানের প্রতারণায় মহান আল্লাহর হুকুম লংঘন করে তাঁর শাস্তির সম্মুখীন হন। মহান আল্লাহ তায়ালা এ মাসেই আরাফাতের ময়দানে হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)কে একত্রিত করেছিলেন। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)কে ক্ষমা করে দেন। হজরত নূহ (আ.) মহাপ্লাবনের পর তিনি ও তাঁর উম্মতগণসহ এ মাসেই পৃথিবীর মাটি স্পর্শ করেন। এ মাসেই মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এর জন্য নমরুদের অগ্নিকুণ্ডলী শান্তিতে পরিণত হয়। তাওহিদের দাওয়াত দেয়ার অপরাধে তৎকালীন জালিম শাসক নমরুদ হজরত ইব্রাহিম (আ.)কে অগ্নিকুণ্ডলীতে নিক্ষেপ করেছিলেন। মহান আল্লাহর নবী বাদশাহ হজরত সুলাইমান (আ.) এ মাসেই তার রাজত্ব ফিরে পেয়েছিলেন। হজরত মুসা (আ.)কে মহান আল্লাহ তায়ালা মহররম মাসেই ফেরাউনের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেন এবং ফেরাউনের দম্ভ চূর্ণ করে তাকে দলবলসহ নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।’
‘অনেক ত্যাগের ও রক্তের বিনিময়ে আজ ইসলাম প্রতিষ্ঠাতা হয়েছে,আল্লাহ যেন সবাইকে বুঝার ও মানার তৌফিক দান করেন, আমিন।’ - এমডি ওয়াসিমের মন্তব্য।
কামাল হোসাইন ভুঁইয়া লিখেন, ‘১০ মহররম বিশ্বের মুসলমানদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। মহান আল্লাহ এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এই দিনেই পৃথিবী ধ্বংস হবে।’
এস কে আবির লিখেন, ‘১০ মহররম মুসলিমদের জন্য একটি খুবই দুঃখের ঘটনা। কারণ,এই দিনে নবী (সঃ)এর প্রিয় দৌহিত্র মোহাম্মাদ হুসাইন (রা.) সহ মুসলিমরা শহীদ হয় ইসলামের জন্য। আমাদের এই দিনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা উচিত।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।