পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ওয়াসার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, ইউপি চেয়ারম্যান ও এক আ.লীগ নেতা। মৃতরা হলেন ঢাকা ওয়াসার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান জিন্নাহ চৌধুরী, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি খ. ম. শফিকুল আলম খন্দকার খোকা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা আসাবুল হক ঠান্ডু। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান জিন্নাহ চৌধুরী : ঢাকা ওয়াসার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান জিন্নাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিলেন। গতকাল সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। বৈরাগীহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিলন চ্যাটার্জী জানান, মাহমুদুর রহমান জিন্নাহ চৌধুরী সপ্তাহখানেক আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে সকালে পুলিশের তত্ত্বাবধানে কামদিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি খ. ম. শফিকুল আলম খন্দকার খোকা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
মরহুমের পারিবারিক সূত্র জানায়, খ. ম. শফিকুল আলম খন্দকার খোকা দীর্ঘ দিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। ২৫ আগস্ট হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা করলে তার করোনা শনাক্ত হয়। পরদিন ২৬ আগস্ট তাকে রংপুরের ডক্টরস ক্লিনিকের আইসিইউতে নেওয়া হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মধ্যরাতে তিনি মারা যান। গতকাল বাদ জুম স্থানীয় গেগরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ সদস্য ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আসাবুল হক ঠান্ডুর মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাতেই তার লাশ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়।
আসাবুল হক ঠান্ডু (৫৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত সিদ্দুকুর রহমানের ছেলে এবং ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আএমও ডা. শামীম কবীর জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আসাবুল হক ঠান্ডু অসুস্থ ছিলেন। করোনা পরীক্ষার জন্য গত ১৪ আগস্ট সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। ১৬ আগস্ট তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ওই দিন রাতে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।